বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ এবার ঝাড়খণ্ডে! কংগ্রেসে আশার আলো এখন মহারাষ্ট্র-কৌশল
তিন দিনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারের পতনকে বড় পদক্ষেপ হিসাবে দেখছে কংগ্রেস। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড মনে করছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলবে মহারাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি।
তিন দিনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারের পতনকে বড় পদক্ষেপ হিসাবে দেখছে জাতীয় কংগ্রেস। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড মনে করছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলবে মহারাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি। এই রাজ্যেও শাসক বিজেপির হাল এমনই হবে বলে বিশ্বাস কংগ্রেস নেতৃ্ত্বের। এমনকী শিবসেনার সঙ্গে জোট হিন্দু ভোটারদের তাঁদের দিকে আনতে সহায়ক হবে বলে বিশ্বাস।
কংগ্রেসের পালে হাওয়া দিয়েছে মহারাষ্ট্র
লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস হতাশজনক ফল করেছিল। ফলে অনেক সিনিয়র নেতার ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, হিন্দুরা কংগ্রেসকে সংখ্যালঘুপন্থী হিসাবে বিবেচনা করে দূরে সরিয়ে নিয়েছে। এখন শিবসেনার সঙ্গে জোট করে সংসার তাঁদের সেই ধারণাকে ভেঙে দেবে। ফলে হিন্দুরা ফের কংগ্রেসের দিকে আসতে শুরু করবে।
বিজেপি নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে ঝাড়খণ্ডে
লোকসভা ও বিগত বিধানসভা নির্বাচনগুলির আগে রাহুল গান্ধী মন্দির-রাজনীতির উত্থাপন করেছিলেন। বিশেষ করে গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন। কংগ্রেস ফলও পেয়েছিল হাতনাতে। লোকসভায় কিন্তু এই হিন্দুত্বের তাস ফেলতে ব্যর্থ হয়েছিল কংগ্রেস।
'মুসলিমদের দল' প্রচারকে ভোঁতা করে
কংগ্রেসের দাবি, হিন্দুরা যদি ভোট না দেয় তবে নির্বাচন জেতা মুশকিল। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দল। কিন্তু বিজেপি'র পক্ষ থেকে আমাদের একটি 'মুসলিমদের দল' হিসাবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে এবং প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির সেই প্রচারকে ভোঁতা করে দেবে মহারাষ্ট্রে তাঁদের জোট-কৌশল।
ঝাড়খণ্ডে দলীয় কর্মীদের মনোবল তুঙ্গে
কংগ্রেস আশাবাদী, ৩০ নভেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ডে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাতে দলীয় কর্মীদের মনোবল তুঙ্গে রয়েছে। মহারাষ্ট্রে এনসিপি-সেনার সাথে হাত মিলিয়ে বিজেপির পতন ঘটানো দাওয়াইয়ের কাজ করবে ঝাড়খণ্ডে। বিজেপির এই মধ্যরাতের অভ্যুত্থান কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবন দিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে শারদ পাওয়ার ও সোনিয়া গান্ধী একসঙ্গে জাতীয় রাজনীতির পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে পারবেন।
কনকনে ঠাণ্ডা খাতায় কলমে কবে থেকে পড়ছে! আবহাওয়ার রিপোর্ট কী বলছে