কংগ্রেস ঘরপোড়া গরু, মোদীর চিঠির এক ‘বিশেষ বার্তা’য় তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছে
কংগ্রেস ঘরপোড়া গরু, মোদীর চিঠির এক ‘বিশেষ বার্তা’য় তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছে
কথায় আছে ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। কংগ্রেসও তেমনই ভয় পাচ্ছে এখন বিজেপিকে। রাহুলের ডান হাত জ্যোতিরাদিত্যকে কেড়ে নিয়েছে বিজেপি। তারপর থেকেই কংগ্রেস ভয় পাচ্ছে বিজেপির সাধারণ একটা পদক্ষেপেও। এর আগে অনেক রাজ্যেই এমন ঘটেছে। তাই ভাবছে জ্যোতিরাদিত্যের পর শশী থারুর নয় তো!
কংগ্রেস কাঁপছে মোদীর চিঠিতে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লেখা এক চিঠিই সেই জল্পনা উসকে দিয়েছে। শশী থারুরের জন্মদিনে মোদীর লেখা চিঠি একটি বিশেষ বাক্য ঘিরেই ফের জল্পনার পারদ চড়েছে হু-হু করে। কিন্তু কী এমন লিখলেন মোদী। যার জন্য কংগ্রেস কাঁপতে শুরু করল। না, কাঁপার মতোই একটা বাক্য রয়েছে চিঠিতে।
থারুরকে কী বার্তা মোদীর
মোদী লিখেছেন, জন্মদিনে মন থেকে শুভেচ্ছা জানাই আপনাকে। কামনা করি, আপনার জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক। জীবনে আসুক শান্তি আর সৌভাগ্য। আপনার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও পাণ্ডিত্য দেশ গঠনের পক্ষে সহায়ক হোক। তাঁর এই শেষের কথাটিতেই জল্পনা শুরু হয়। দেশ গঠনে সহায়ক হবে শশীর পাণ্ডিত্য। অথচ এই শশীর মন্তব্যে কত না সমালোচনা করেছে বিজেপি
মোদীর চিঠিতে শুভেচ্ছা জন্মদিনের
সোমবার ৬৪-তে পা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। মালয়ালম ভাষায় চিঠি লিখে শশী থারুরকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর থারুর সেই চিঠি আবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন থারুর। তাতেই জল্পনার পারদ ঊর্ধ্বমূখী।
চিঠি পেয়ে আপ্লুত শশী যা করলেন
প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠি পেয়ে তিনি আপ্লুত হন। সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেরিত চিঠি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে, যে বিজেপি তাঁকে নানা সময়ে আক্রমণ করে এসেছে, সেই দলেরই প্রধান মুখ এন গদগদ হয়ে চিঠি লিখলেন কেন। আর কেনই বা শশী থারুর তা সোশ্াল মিডিয়ায় পোস্ট করে আপ্লুত হলেন।
শশী থারুর কি টার্গেট নাকি নিছক জল্পনা
রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ মনে করছে, এর মধ্যে কোনও অভিসন্ধি থাকতে পারে। জ্যোতিরাদিত্যের পর শশী থারুর বিজেপির টার্গেট হতেই পারেন। থারুর যথেষ্ট জনপ্রিয় নেতা, তার থেকেও বড় কথা তিনি বাগ্মী। নতুনদে্র কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা সর্বজনবিদিত।
কংগ্রেস বঞ্চিতের তালিকায় শশী থারুর
আর কংগ্রেসে শশী থারুর বঞ্চিতের তালিকায়। রাহুল গান্ধী সভাপতিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরও তাঁর নাম বিবেচনা করা হয়নি। আবার লোকসভার দলনেতা নির্বাচনের সময়ও তিনি ব্রাত্য রয়ে যান। অধীর চৌধুরীকে বেছে নেওয়া হয় লোকসভার দলনেতা হিসেবে। কংগ্রেসে ভবিষ্যৎ না দেখতে পেয়েই অনেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় আছেন। সেই সুযোগ আবার কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর বিজেপি।