লোকসভা ভোটের মাঝেই বিরাট ধাক্কা কংগ্রেসের, প্রিয়াঙ্কাকে কাঠগড়ায় তুলে দলত্যাগ
লোকসভা ভোট চলাকালীন বড়সড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নীলম মিশ্র কংগ্রেস ছেড়ে সরব হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
লোকসভা ভোট চলাকালীন বড়সড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নীলম মিশ্র কংগ্রেস ছেড়ে সরব হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। দলের প্রার্থীকে নিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছে সওয়াল করেও কোনও ফায়দা হয়নি, উল্টে অপমানিত হয়ে হয়েছে তাঁকে। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
পদত্যাগ জেলা সভাপতির
শনিবারই তিনি পদত্যাগ করেছিলেন জেলা সভাপতির পদ থেকে। রবিবার তিনি বলেন, লোকসভা ভোটে একজন বহিরাগতকে প্রার্থী করা হয়েছে। বিজেপি ছেড়ে আসা রমাকান্ত যাদবকে টিকিট দেওয়া তাঁর পছন্দ হয়নি। এটা দলের সদস্যদের কাছেও বড় আঘাত ছিল। তাই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর শরণাপন্ন হয়েছিলাম।
|
অপমানিত হয়ে পদত্যাগ!
কিন্তু প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে কথা বলে কোনও লাভ হয়নি। উল্ট তাঁকে অপমানিত হতে হয়েছে। আর এই অপমানের অভিযোগ এআইসিআইসিসির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে। তারপরই কংগ্রেসের ভাদোহী জেলা সভাপতি নীলম মিশ্র পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন দল ছাড়ার।
দলীয় কর্মীদের প্রতি অশ্রদ্ধা
নীলম মিশ্র অভিযোগ করেন, দলীয় কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা নেই নেতৃত্বের। দলীয় কর্মীদের উৎসাহিত করার মতো কোনও উদ্যোগও নেই। তাই কংগ্রেসের এই অবস্থা রাজ্যে। দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা না থাকলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব।
বিজেপি বিরোধিতা অটুট
কংগ্রেস ছাড়লেও তিনি বিজেপি বিরোধিতা অটুট থাকছেন। কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করার পর তিনি এসপি-বিএসপি জোটের যুগ্ম প্রার্থী রঙ্গনাথ মিশ্রর সমর্থনে একটি বৈঠক করেন। কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি মুশির ইকবাল বলেন, মিশ্রজির নির্বাচন পর্যন্ত দেখা উচিত ছিল। তারপর তিনি পদত্যাগ করতে পারতেন।