আপের মতো তৃণমূলও গোয়ায় ব্যর্থ হবে! বহুমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কংগ্রেসের ভরসা 'বিশেষ' ভোটাররা
২০১৭ সালে সব থেকে বড় দল হয়েও ক্ষমতায় ফিরতে পারেনি কংগ্রেস (congress)। এরপর দল ভেঙে অনেকেই বিজেপি (bjp) কিংবা তৃণমূলে (trinamool congress) যোগ দিয়েছেন। তবুও গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে (Goa Assembly Election 2022) দলের ফল নিয়ে আশাবাদী কংগ্রেস। দেশের শতাব্দীপ্রাচীন এই দল মনে করছে দলের ঐতিহ্যবাহী ভোট ফিরলেই তারাও ক্ষমতায় ফিরতে পারবে একসময়ে পর্তুগিজ শাসিত গোয়ায়।

ধর্মনিরপেক্ষ ভোটে আস্থা কংগ্রেসের
গোয়ার বর্ষীয়ান এক কংগ্রেস নেতা বলেছেন, গোয়ার ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ, চিন্তা ভাবনায় এমন কী ভোটদানেও। খ্রিস্টান, মুসলিম এবং তফশিলি জাতি উপজাতিরা সাধারণভাবে কংগ্রেসই ভোট দেন। যে কারণে ২০১৭-র নির্বাচনে কংগ্রেস ৪০ আসনের বিধানসভায় ১৭ আসন দখল করে একক বৃহত্তম দল হয়েছিল। পাশাপাশি অন্য দলগুলির তুলনায় এবারেও তাদের নির্বাচনী ফলাফল অন্যদের তুলনায় ভাল হবে বলে দাবি করেছেন ওই নেতা। গোয়া কংগ্রেসের সভাপতি গিরিশ চোদনকার বলেছেন, গোয়ার মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ, সেই কারণে তাঁরা সমসময়ই কংগ্রেসের ওপরে আস্থা রেখেছেন।

গতবারের ভুল না করার আশ্বাস
গোয়া কংগ্রেসের সভাপতি বলেছেন, গোয়ায় বিজেপি সরাসরি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না। সেই কারণে তারা অন্য উপায় নিয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ ভোটকে ভাগ করে কংগ্রেসের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। গত বারে আপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬ শতাংশের বেশি ভোট পেলেও একটিও আসন পায়নি। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস চেষ্টা করেও কিছু করতে পারবে না বলেই মনে করেন তিনি। কংগ্রেসের ওপরে গোয়াবাসীদের বিশ্বাস আছে দাবি করে চোদানকার বলেছেন, গত নির্বাচনেও বিজেপির থেকে কংগ্রেসের ফল ভাল হলেও শেষ পর্যায়ে কিছু অব্যবস্থার কারণে দল সরকার গঠন করতে পারেনি। এবার সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

গোয়ায় জনসংখ্যার বিন্যাসে যাঁদের ওপরে ভরসা কংগ্রেসের
গোয়ায় খ্রিস্টানদের সংখ্যা প্রায় ২৭ শতাংশের মতো। মুসলিমদের ভোট প্রায় ৮ শতাংশের মতো। এছাড়া তফশিলি জাতি ও উপজাতির সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশের মতো। সব মিলিয়ে এই চার সম্প্রদায়ের ভোটের পরিমাণ প্রায় ৫৫ শতাংশের মতো।

২০১৭-তে কংগ্রেস ও বিজেপির তুলনামূলক ফলাফল
২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস গোয়ার ৪০ টি আসনের মধ্যে ৩৭ টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৭ টি আসনে জয় পেয়েছিল। অন্যদিকে বিজেপি ৩৬ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৩ টি আসনে জয় পেয়েছিল। যদিও শতাংশের নিরিখে কংগ্রেস ভোট পেয়েছিল বিজেপির থেকে অনেকটাই কম। কংগ্রেস পেয়েছিল ২৮.৩৫ শতাংশ আর বিজেপি সেখানে পেয়েছিল ৩২.৪৮ শতাংশ ভোট।
