ফারুক আব্দুল্লাহকে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে দেওয়া হোক, দাবি কংগ্রেস নেতাদের
ফারুক আব্দুল্লাহকে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে দেওয়া হোক, দাবি কংগ্রেস নেতাদের
ফের একবার আটক থাকা ফারুক আব্দুল্লাহকে সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে দেওয়ারদাবিতে সরব হল কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। আজ সর্বদল বৈঠকে এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও বলেন বিরোধীরা। বৈঠক শেষে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ এই সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা বহুবার কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। এবং তাঁদের মুক্তির দাবি তুলেছি।"
অধীরের বক্তব্য
আধীর আরও বলেন, "আমাদের মনে হয় ফারুক আব্দুল্লাহকে মুক্তি দেওয়া উচিৎ। শীতকালীন অধিবেশনে তাঁকে যোগ দিতে দেওয়া হোক। আমরা আশা করছি এই বিষয়ে এত রাজনৈতিক দল দাবি তোলায় এই বিষয়ে সরকার সঠিক সিদ্ধান্তটাই নেবে।"
গুলাম নবি আজাদের দাবি
অধীরের সুরে সুর মিলিয়ে একই দাবি তোলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। তিনি বলেন, "ফারুক আব্দুল্লাহকে তিন মাসের বেশি সময় ধরে বন্দি রাখা হয়েছে। তাঁকে মুক্ত করে দেওয়া উচিৎ। পাশাপাশি আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে তাঁকে।"
ফারুক বন্দি নন, দাবি করেছিলে শাহ
৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ফারুক মুক্ত রয়েছেন। চাইলে সংসদে আসতে পারেন। কিন্তু একশো দিন পরেও কেন জন নিরাপত্তা আইনে তিনি বন্দি, তার জবাব চেয়ে এদিন সরকারকে তোপ দাগেন বিরোধীরা। কাশ্মীরের রাজনৈতিকদের আটক করে রাখার বিরুদ্ধে এর আগেও বহুবার সরব হয়েছে বিরোধীরা।
অগাস্ট থেকে বন্দি রয়েছেন ফারুক
৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের বিশেষ অধিকার বাতিল করা হয়। এরপর অপর একটি আইন পাশ করিয়ে জম্মু ও কাশ্মিরকে এবং লাদাখকে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার কথা ঘোষণা করা হয়। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয় বহুদিন। গ্রেফতার করা হয় সেখানকার বিচ্ছিনতাবাদী নেতা ও রাজনৈতিক নেতাদের। ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণার আগেই প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, তাঁর ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে আটক করে গৃহবন্দি করা হয়।
কী এই জন নিরাপত্তা আইন?
প্রসঙ্গত,১৯৭৮ সালে জননিরাপত্তা আইন সংক্রান্ত এই পিএসএ আইটনি পাশ করিয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা ফারুখ আব্দুল্লাহর বাবা শেখ আবদুল্লাহ। প্রায় চার দশক আগের এই আইন অনুসারে, কোনও বিচার ছাড়াই এই আইনে যে কাউকে দুবছর পর্যন্ত আটক করে রাখা যায়। কয়েক দশক ধরে জঙ্গি, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ইট-পাটকেল ছোড়ার অপরাধে যুক্তদের বিরুদ্ধে এই আইন ব্যবহার করা হচ্ছিল।