লাদাখ থেকে চিনের সেনা সরতেই 'মোদীকে ক্ষমা চাইতে হবে' দাবিতে সরব কংগ্রেস
লাদাখ থেকে চিনের সেনা সরতেই 'মোদীকে ক্ষমা চাইতে হবে' দাবিতে সরব কংগ্রেস
দেশের জাতীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে চিনের কূটনীতিবিদের ২ঘণ্টা কথা বার্তা হওয়ার পর শেষমেশ লাদাখ থেকে পিছু হটল লালফৌজ। এদিকে, লাদাখের মাটিতে চিনের সেনার পিছু হওয়ার খবর আসতেই মোদীকে ক্ষমা চাইতে বলে সরব হল কংগ্রেস।
মোদীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি
লাদাখে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী আগে জানিয়েছিলেন, কেউ সীমানার ভিতরে অনুপ্রবেশ করেনি। এদিকে আজ লাদাখে চিনা সেনা পিছু হটেছে বলে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে। আর তারপরই মোদীর বক্তব্যকে ভুয়ো বলে ফের সরব হয়েছে কংগ্রেস। এর আগেও একই দাবিতে অনড় ছিল কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেস সাফ জানিয়ে দেয় যে , প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছিলেন তার সাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে।
লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে দাবি
কংগ্রেসের দাবি, লাদাখে কী চলছে , তা নিয়ে দেশের জনতাকে অবহিত করুন প্রধানমন্ত্রী বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দুই নেতার কেউ অন্তত এবিষয়ে বক্তব্য রাখুন দেশবাসীর কাছে। উল্লেখ্য,লাদাখ কোন দেশের অংশ , তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে হাতিয়ার করেছে চিন। আর সেই মর্মেই চিন দাবি করেছে গালওয়ানে তাদের হক রয়েছে।
এর আগে ২ ঘণ্টার হাইভোল্টেজ বৈঠক
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শান্তি পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে অজিত ডোভালের বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদদের একাংশ। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিও জারি করা হয়। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, 'ভারত-চিন সীমান্ত বরাবর, ওয়েস্টার্ন সেক্টরে যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা প্রশমিত করতে দু'পক্ষের মধ্যে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। যত দ্রুত সম্ভব সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া দরকার বলে উভয়েই মত প্রকাশ করেন। পাশাপাশি উভয়পক্ষই সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাড়তি সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও সহমত পোষণ করে।'
দুই কিলোমিটার পিছনে সরে গেছে চিন!
এদিকে সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে দুই কিলোমিটার পিছনে সরে গেছে চিনের সেনাবাহিনী৷ ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, কর্পস কমান্ডার স্তরে বৈঠকের পর তাঁবু, গাড়ি এবং বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে চিন। তবে গালওয়ান নদীর পার্শ্ববর্তী দুর্গম এলাকায় এখনও অস্ত্রবাহী গাড়ি মোতায়েন রেখেছে চিন। ভারতীয় সেনা সেদিকে নজর রেখেছে।
লাদাখে ইস্যুতে চিন শান্তির বার্তা দিয়েও গোপন ফাঁদ পাততে পারে! বেজিং-স্ট্র্যাটেজি নিয়ে জল্পনা