স্পিকার ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে হারকেও 'জয়' হিসাবে দেখছে কংগ্রেস, কী ব্যাখ্যা সিব্বলদের
কর্ণাটকে স্পিকার পদে বিজেপি নেতা কেজি বোপাইয়াকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল বাজুভাই বালা। সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস।
কর্ণাটকে স্পিকার পদে বিজেপি নেতা কেজি বোপাইয়াকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল বাজুভাই বালা। সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে তাঁরা হস্তক্ষেপ করবে না। কংগ্রেসের দাবি ছিল, বোপাইয়া সবচেয়ে সিনিয়র বিধায়ক নন। প্রথা অনুযায়ী প্রোটেম স্পিকারের পদ সবচেয়ে বরিষ্ঠ নেতার পাওয়া উচিত। যদিও সুপ্রিমকোর্ট এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার কথাই বলেছে।
কংগ্রেসের হয়ে আদালতে কপিল সিব্বল ও অভিষেক মনু সিংভী হাজির হন। অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল ও প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি বিজেপির হয়ে দাঁড়ান। সিনিয়র আইনজীবী রাম জেঠমালানিও উপস্থিত ছিলেন। বিচারপতি একে সিকরি, এসএ বোবদে ও অশোক ভূষণকে জানানো হয় কংগ্রেসের আপত্তির কথা।
Most important objective was to establish transparency. Since the statement has come from ASG that live feed of proceedings would be given, we hope & trust there would be fairness. I have no doubt that the victory would be of Congress & JD(S): Abhishek Manu Singhvi #Karnataka pic.twitter.com/bIBCybpRxQ
— ANI (@ANI) May 19, 2018
এক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কংগ্রেস নিজের জায়গা থেকেই সরে আসছে। প্রোটেম স্পিকার নিয়ে আপত্তি শুনতে বসলে আজকের আস্থা ভোট পিছিয়ে যাবে। সেটা কি তাঁরা চাইছেন? তাছাড়া কাকে নিয়োগ করা হবে তা নিয়ে রাজ্যপালকে নির্দেশ দিতে পারে না সর্বোচ্চ আদালত।
The SC heard the pleas of the Congress, all their pleas have been rejected. The desperate attempts of Congress to remove him from post has failed. I think they are scared & did not even want a floor test in the first place: Mukul Rohatgi #Karnataka pic.twitter.com/llWp9UOJhE
— ANI (@ANI) May 19, 2018
তবে সুপ্রিম কোর্ট আস্থা ভোটের লাইভ সম্প্রচার করার কথা বলে। যাতে স্বচ্ছ্বতা বজায় থাকে। এরপরই পিছিয়ে আসে কংগ্রেস। মনু সিংভিরা জানান, আদালত স্পিকার ইস্যুতে তাঁদের কথা না শুনলেও আদতে কংগ্রেসের জয়ই হয়েছে। কারণ এই ইস্যুতে আস্থা ভোট পিছিয়ে যাক তা সর্বোচ্চ আদালত চায়নি। তাই হেরে গিয়েও আদতে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।