অমিত শাহ পূজারি নাকি মহন্ত, রামমন্দির নিয়ে পাল্টা নিশানা মল্লিকার্জুন খাড়গের
অমিত শাহ পূজারি নাকি মহন্ত, রামমন্দির নিয়ে পাল্টা নিশানা মল্লিকার্জুন খাড়গের
রাহুল গান্ধীকে একহাত নিয়ে রামমন্দির নির্মাণের খোঁটা দিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেই কটাক্ষ পাল্টা ফিরিয়ে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। রামমন্দির নিয়ে অমিত শাহের বার্তা উড়িয়ে খাড়গে বলেন, তুমি কে? তুমি কি পূজারি নাকি মহন্ত? যে তুমি এমন ঘোষণা করছো?
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এক হাত নিয়ে বলেন, নির্বাচন ঘোষণার আগেই রামমন্দিরকে ইস্যু করতেই অমিত শাহ এমন সব কথা বলছেন। অমিত শাহ বলেছেন, রাম মন্দির ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি তৈরি হয়ে যাবে। অর্থাৎ তিনি ভোটের আগে হিন্দুত্বের তাস খেলতে চাইছেন।
এই মর্মেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, অমিত শাহ তো রামমন্দিরের পূজারিও নন মহন্তও নন। তাহলে তিনি এমন কথা ঘোষণা করতে পারেন কীভাবে? খাড়গে বলেন, প্রত্যেকেরই ঈশ্বরে বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু আপনি এমন ঘোষণা করলেন কেন ত্রিপুরী নির্বাচনের আগে? নাকি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে আপনি এসব কথা বলছেন।
খাড়গে বলেন, ২০২৪-এর মে মাসে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে ২০২৪-এর ১ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধন করে হিন্দুত্বের তাস খেলে নির্বাচন জিততে চাইছেন। তাই রামমন্দির নিয়ে এমন ঘোষণা করছেন আপনি। আপনি কোন বলছেন, রামমন্দির উদ্বোধনের কথা পূজারি বা মহন্তরা বলুক।
খাড়গে অমিত শাহকে একহাত নিয়ে বলেন, আপনি একজন রাজনীতিবিদ। আপনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আপনার কাজ হল দেশকে সুরক্ষিত রাখা। আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা। মানুষ যাতে খাদ্য পায় এবং কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের দাম নিশ্চিত করা। এটাই আপনার কাজ। কংগ্রেস প্রধান ভারত জোড়োর যাত্রার অংশ হিসেবে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে একথা বলেন।
অমিত শাহ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন, অযোধ্যায়র রামমন্দির তৈরি হবে ২০২৪-এর ১ জানুয়ারি। লোকসভা নির্বাচনের আগেই তা তৈরি হয়ে যাবে। বিরোধীরা অমিত শাহের এই বার্তায় প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন। অমিত শাহ রাহুল গান্ধীকে রাহুল বাবা সম্বোধন করে এই বার্তা দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা উত্তরপ্রদেশে প্রবেশের মুখে রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত স্বাগত জানিয়েছিলেন। রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস সোনিয়া-পুত্র রাহুল গান্ধীকে শুভেচ্ছা বার্তায় লিখেছিলেন, ভগবান রামের আশীর্বাদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে থাকবে। তিনি ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে গোটা দেশকে এক সূত্রে বাঁধতে চাইছেন। তিনি এই কাজ করছেন দেশের উন্নতির জন্য। এ জন্য তিনি দেশবাসীর আশীর্বাদ পাবেন। তারপর রাম মন্দির নির্মাণের বার্তায় রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ তাৎপর্যপূর্ণ।