হিমাচলের নির্বাচনে কংগ্রেসকে অ্যাডভান্টেজ দেবেন বিজেপির বিধায়করা! নির্দল যেখানে কাঁটা
হিমাচলে বিজেপির আসন বন্টনের পরই বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন বেশ কিছু নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিধায়ক থেকে শুরু করে এক মন্ত্রীও। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তাতে শামিল বিধায়ক-মন্ত্রীরাও।
হিমাচলে বিজেপির আসন বন্টনের পরই বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন বেশ কিছু নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিধায়ক থেকে শুরু করে এক মন্ত্রীও। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তাতে শামিল বিধায়ক-মন্ত্রীরাও। ১১ বিধায়কের বাদ পড়াই শুধু নয়, কয়েকজন মন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র বদলও বিদ্রোহের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আবার শুধু বিধায়ক-মন্ত্রীরা বাদ পড়ে বিদ্রোহ করেও ক্ষান্ত নন। অনেকে নির্দল হয়ে নিজেদের বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছেন। সেখানেই উঠেছে প্রশ্ন। তবে কি বিজেপি বনাম বিজেপি লড়াইয়ে রাজনৈতিক সুবিধা পাবে কংগ্রেস। কংগ্রেসকে কি এই অ্যাডভান্টেজ নিতে দেবে বিজেপি, সেটাও একটা প্রশ্ন।
১১ জন বিধায়ক এবার বিজেপির প্রার্থী তালিকায় স্থান পাননি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক মন্ত্রীও। আবার দুই মন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র বদল করা হয়েছে। সেটাও ভালো চোখে নেননি দুই বিধায়ক সুরেশ ভরদ্বাজ ও রাকেশ পাঠানিয়া। অনেকের টিকিট না পাওয়া আবার অনেকের কেন্দ্র পছন্দ না হওয়া বিজেপিতে বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস।
বিজেপির বিদ্রোহীদের একাংশের অভিযোগ, পুরনোদের অবহেলা করে দলবদলুদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এমনকী আসন কেনাবেচা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টিকিট না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা নির্দল হয়ে দাঁড়াতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে হিমাচল নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অভিযোগ উঠেছে, একাধিক নেতার কেন্দ্র বদলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে।
রাজ্য বিজেপির একটা বড় অংশ এই ঘটনায় অখুশি। তাঁরা উষ্মা প্রকাশও করেছে। বাংলার মতো হিমাচলেও আওয়াজ উঠেছে, পুরনো বিশ্বস্ত নেতাদের বদলে দলবদলুদের গুরু্ত্ব দিচ্ছে দিল্লি। এখন দেখার বিজেপির এই উষ্মা কংগ্রেস কাজে লাগাতে পারে কি না। টিকিট না পাওয়া নেতারা যদি নির্দল হয়ে দাঁড়ান, তবে কংগ্রেস যে অ্যাডভান্টেজ পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিরোধীদের পাশাপাশি বিদ্রোহী গেরুয়া শিবিরের সঙ্গেও ভোটে লড়তে হবে বিজেপিকে। কেননা কাঙ্গরারা ১০টি আসনের মধ্যে ৫টিতে, মান্ডিতে ১০টির মধ্যে ৫-৬টি আসনে বিদ্রোহী নেতারা নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়তে চলেছেন। ফলে এই সব কেন্দ্রে কংগ্রেস সুবিধা পেতে পারে। আবার টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।
কংগ্রেসে সম্প্রতি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর হিমাচলেই প্রথম নির্বাচন হতে চলেছে। তাই এই নির্বাচন কংগ্রেসের কাছেও অগ্নিপরীক্ষার। প্রথম নির্বাচনে মল্লিকার্জুনের কংগ্রেস কতটা ভালো ফল করে তার উপর তাঁর সভাপতি হিসেবে পথ চলা মসৃণ হবে। হিমালচের পরই মোদী-রাজ্য গুজরাতে নির্বাচন।