হাত বাঁধা, বিশ্রামের সময়! উত্তরাখণ্ডের ভোটের আগে রহস্য বাড়ালেন কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত
বছর ঘুরলেই অন্য চার রাজ্যের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ভোট। সেই সময়ে কংগ্রেসের প্রচার-প্রধান হরিশ রাওয়াতের (Harish Rawat) টুইট ঘিরে জল্পনা। তিনি বলেছেন, কোনও কোনও সময় তিনি মনে করেন, সময়টা বিশ্রামের। তাঁর এই টুইট নিয়ে রহস্যও তৈরি হয়েছে।

ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা
বুধবার তিনি একের পর এক টুইট করেছেন। সেখানেই তিনি দলের মধ্যেকার কাজ নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করে ফেলেছেন। রাওয়াত বলেছেন, এবার ঈশ্বর বলুন কী করতে হবে।

নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বার্তা
এদিন তিনি যা টুইট করেছেন, তা কার্যত কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, যাঁদের নির্দেশে নির্বাচনী সাগরে তাঁর সাঁতার কাটার কথা, সেই সময় তাঁর হাত-পা বাঁধা। তিনি নিজেই প্রশ্ন করেছেন, এটা কি অদ্ভুত জিনিস নয় কি? নির্বাচনী যুদ্ধে যেখানে সাঁতরে সাগর পেরনোর কথা, সেখানে সাংগঠনিকভাবে হাত এগিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

রাজনীতি থেকে অবসরের ইঙ্গিত
দলে বিরোধীদের সমুদ্রের কুমির হিসেবে উল্লেখ করে তিনি রাজনীতি থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছেন। টুইটে তিনি বলেছেন, তিনি অনুভব করছেন, রাজনীতিতে অনেক হয়েছে। এখন বিশ্রাম নেওয়ার সময় এসেছে। একইসঙ্গে অপর টুইটে তিনি বলেছেন, তাঁর হৃদয়ের একটা অংশ বলছে চ্যালেঞ্জ থেকে না সরে আসতে।
তিনি যে ঝড়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তা উল্লেখ করে আশাপ্রকাশ করেছেন, নতুন বছর তাঁকে পথ দেখাবে। তিনি নিশ্চিত যে ভগবান কেদারনাথ তাঁকে পথ দেখাবেন।

কংগ্রেস ছাড়বেন কি?
কংগ্রেস ছাড়বেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে হরিশ রাওয়াত বলেছেন, যখন সময় আসবে, তিনি ফোন করবেন। কিন্তু এখন আনন্দ উপভোগ করুন। প্রসঙ্গত হরিশ রাওয়াত তিন দফায় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

উত্তরাখণ্ডে রাওয়াত ছাড়া কংগ্রেস অন্ধকার
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা হরিশ রাওয়াতকে উত্তরাখণ্ড কংগ্রেসের প্রতাপশালী নেতা বলে এখনও মানেন। কিন্তু রাজ্যে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল। কংগ্রেস এখনও সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে কাউকে ঘোষণা না করলেও, অনেকেই মনে করেন, কংগ্রেস তাঁকে সামনে রেখেই রাজ্যে এগোতে পারে।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) মথুরা দত্ত যোশী সম্প্রতি বলেছেন, উত্তরাখণ্ডে দল রাওয়াতের ওপরে ভরসা করে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যোশী বলেছেন, রাওয়াত রাজ্যের জনপ্রিয় নেতা। তাঁর নিজের ভোট রয়েছে প্রায় ৭ থেকে ১০ শতাংশের মতো। তিনি আরও বলেছেন, দলকে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে ভোট তাঁর পক্ষেই যায়।

গোয়ায় বিজেপি না তৃণমূল, জিতবে কে? প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা পোলস্ট্র্যাট-নিউজ এক্সের