বিজেপির মোকাবিলায় সিপিএমকে ডাক কংগ্রেসের, কোন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে ত্রিপুরায়
কোনও রাখঢাক করলেন না, সোজাসাপ্টা আহ্বান জানালেন, আসুন, আমরা একসঙ্গে বিজেপির মোকাবিলা করি। বিজেপি ছেড়ে সদ্য কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন। বিধায়কও নির্বাচত হয়েছেন।
কোনও রাখঢাক করলেন না, সোজাসাপ্টা আহ্বান জানালেন, আসুন, আমরা একসঙ্গে বিজেপির মোকাবিলা করি। বিজেপি ছেড়ে সদ্য কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন। বিধায়কও নির্বাচত হয়েছেন। তারপরই কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সিপিএমের সঙ্গে জোট গড়ার আহ্বান জানালেন। ফলে বিজেপিকে হারাতে ফের কংগ্রেস-সিপিএম জোট সম্ভাবনা তৈরি হল ত্রিপুরায়।
কংগ্রেস ও সিপিএমের জোটবদ্ধ হওয়ার সওয়াল সুদীপের
২০২৩ সালের প্রথমেই ত্রিপুরায় ভোট। তাই কাউন্টডাউন একপ্রকাশ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপি শাসনের অবসান চেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বলেন, এ রাজ্যের মানুষকে সুশাসন দিতে হলে সবার আগে হঠাতে হবে বিজেপিকে। তাই বিরোধী ভোট ভাগ না করে কংগ্রেস ও সিপিএমের জোটবদ্ধ হওয়ার সওয়াল করেন সুদীপ।
শুধু বিভাজন ঘটিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় থাকতে চাইছে
সুদীপের কথায়, এমন কিছু করা উচিত নয়, যা বিজেপিকে ফের লাইফলাইন দিতে পারে। এ রাজ্যের মানুষের মন থেকে সরে গিয়েছে বিজেপি। এখন শুধু বিভাজন ঘটিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। আমাদের সেই বিভাজন রুখতে হবে। তাহলেই বিজেপি হার মানবে। আর ত্রিপুরার মানুষও সন্ত্রাসমুক্ত হবে, আবার উন্নয়নের দিশা খুঁজে পাবে।
বিজেপি-বিরোধী ধর্ম-নিরপেক্ষ শক্তিগুলোর এক হওয়া প্রয়োজন
সুদীপ রায় বর্মন আরও বলেন, বামদলগুলিও সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ নিয়ে চলে। কংগ্রেসের সঙ্গে এই নীতিতে তাঁরাও এক। তাহলে কেন বিজেপিকে রুখতে তাঁরা কংগ্রেসের হাত ধরবে না? কংগ্রেসের মতো সিপিএমও বিজেপি-বিরোধী। তাই বিজেপি-বিরোধী ধর্ম-নিরপেক্ষ শক্তিগুলোর যখন এক হওয়ার প্রয়োজন তারা কেন আসবে না এক মঞ্চে?
একা বিজেপিকে পরাজিত করা কংগ্রেসের সাধ্য নেই
সুদীপ রায় বর্মন বলেন, বিজেপি একটা ফ্যাসীবাদী দল। এর ক্ষমতায় থাকতে শুধু বিভাজনে লিপ্ত হয়। কোনও উন্নয়নমূলক অ্যাজেন্ডা এদের নেই। মানুষের আশা আকাঙ্খাপূরণে একমাত্র বিকল্প সরকার দিতে পারে কংগ্রেস। তাই বিজেপি-বিরোধী শক্তি উচিত কংগ্রেসের হাত শক্ত করা। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক সমীকরণ এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, একা বিজেপিকে পরাজিত করা কংগ্রেসের সাধ্য নেই। তাই জোট আহ্বান জানান কংগ্রেস বিধায়ক।
কংগ্রেস উত্তররণের ডাক শুনতে পাচ্ছে, ফিরছেন পুরনোরা
এদিন ত্রিপুরায় কংগ্রেসের সভামঞ্চে বিজেপি, সিপিএম ও তৃণমূল ছেড়ে ৩ হাজারেরও বিশ কর্মী-সমর্থক দলে যোগ দেন। সুদীপ রায় বর্মনরা কংগ্রেসে ফিরে আসার পর ফের জোয়ার এসেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিতে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে থেকেই কংগ্রেসে ক্ষয়রোগ শুরু হয়েছিল। এখন আবার কংগ্রেস উত্তররণের ডাক শুনতে পাচ্ছে। ফের পুরনোরা ফিরছেন কংগ্রেসে।