চিন ইস্যু নিয়ে ময়দানে বিজেপি! মধ্যপ্রদেশ উপনির্বাচনে ফুল মার্কস পেতে কংগ্রেসের পাল্টা হাতিয়ার কী?
ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাতের মাঝেই কংগ্রেস বারংবার লাদাখ নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগার কাজ করে আসছে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তো বটেই বিজেপিকে আক্রমণ শানাতে ময়দানে নেমেছেন স্থানীয় নেতারাও। এরই মাঝে চুপিসারে বিজেপি মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে।

মধ্যপ্রদেশের গদি দখল করে বিজেপি
দেশজুড়ে করোনা লকডাউন জারি করার আগেই আমূল পরিবর্তন হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে। কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সৈনিক ও সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া হাত শিবির ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর অনুগামী হিসাবে পরিচিত ২২ জন বিধায়ক। এর জেরে মধ্যপ্রদেশে কমলনাথকে সরিয়ে মসনদে বসেছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান।

ফাইনাল রাউন্ড বাকি
তবে মধ্যপ্রদেশের ২৪টি আসনের উপনির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই শিবরাজের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় কোন্দল। তবে কংগ্রেস সেই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করলেও দিকভ্রষ্ট হওয়ায় শেষ পর্যন্ত খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি। এই অবস্থায় মন্ত্রিসভা সমপ্রসারণ করার বিষয় নিয়ে প্রধামন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকও সেরে ফেলেন শিবরাজ।

পাশ করতে কংগ্রেসের চাই ফুল মার্কস
তবে কংগ্রেস এখনও নিজেদের পথ ঠিক করে উঠতে পারেনি। ২৩০ আসনি বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৬টি আসন। বিজেপির এই মুহূর্তে রয়েছে ১০৭, কংগ্রেসের ৯২। অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে গেলে কংগ্রেসের প্রয়োজন ২৪টির সবকটি আসন। এই অবস্থায় ময়দানে নেমে জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। তবে কংগ্রেসকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।

কোমর কষছে বিজেপি
বিজেপির তরফে ঘোষণা করে জানিয়ে দেওয়া হল যে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন বিধায়কদেরই উপনির্বাচনের জন্য টিকিট দেওয়া হবে বিজেপির তরফে। এই ঘোষণা করেন স্বয়ং মধ্যপ্রদেশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভিডি সিং। যারপর বিজেপির অন্দরের কোন্দল আরও বেশি করে সামনে এসি পড়ে। তবে সেই পরিস্থিতির রাজনৈতিক ফায়দা না তুলে কংগ্রেস কেন্দ্রকে আক্রমণের পথ গ্রহণ করে। আর এর জেরে কংগ্রেসের পক্ষে মধ্যপ্রদেশের মসদ ফিরে পাওয়া আরও অসম্ভব ঠেকছে।

ভারতে চিনা অ্যাপ বন্ধ হতেই শোরগোল! ড্রাগনের দেশের সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন শুধুই ভারত