কর্নাটকে রাজনৈতিক সংকটের জন্য মোদীকেই দায়ী করল কংগ্রেস
কলকাঠি নেড়েছেন নরেন্দ্র মোদীই। কর্নাটকে জোট সরকারের সংকটজনক পরিস্থিতির জন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে এভাবেই আক্রমণ করল কংগ্রেস। শনিবার জোট সরকারের ১১ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। তারপরেই সরকারের প্রায় টালমাটাল অবস্থা। যেকোনও মুহুর্তে পতন অবশ্যম্ভাবী।

এই পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, দেশেকে সংক্রামিত করছেন মোদী। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে বিজেপি গণতন্ত্রের চিরহরণ করছে। অর্থ এবং ক্ষমতার প্রলভন দিয়ে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এবং প্রকাশ্য দিবালোকে চলছে গণতন্ত্র হরণের এই প্রক্রিয়া।
যদিও কংগ্রেস বিধায়কদের পদত্যাগে তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই বলে আগেই দাবি করেছে বিজেপি। এদিকে কর্নাটকে সরকার গঠনের সব প্রস্তুতি প্রায় সেরে ফেলেছে তারা। এমনকী নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেটাও ঠিক করে ফেলেছেন। এমনকী কর্নাটক বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যপাল ডাকতে তাঁরা সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত।
বিজেপির এই দাবিকেই স্পষ্ট করে তাদের পরিকল্পনা। ঘোড়া কেনা বেচা বিজেপির কাছে কোনও নতুন ঘটনা নয় বলে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। সুরজেওয়ালা দাবি করেছেন সরকার ফেলে দেওয়ার এরকম প্রচেষ্টা মোদী সরকার আগেও বহুবার করেছে। অসম, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, গোয়া, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্রেও ঘটেছে এই ঘটনা।
লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে প্রচার মঞ্চ থেকেই মোদী বলেছিলেন তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে যখন ঘোড়া কেনাবেচার কথা বলছেন তাহলে বোঝাই যায় কর্নাটকে সরকার ফেলতে বিজেপি কতদূর যেতে পারে। কর্নাটকের ক্ষেত্রেও বিজেপি যে কী করছে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।