গণতন্ত্র নিয়ে রসিকতা চলছে, মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে কটাক্ষ কংগ্রেসের
অবশেষে মহারাষ্ট্রে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন। এটাই ভবিতব্য ছিল। কারণ যে পথে এগোচ্ছিল রাজনৈতিক টানা পোড়েন। রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করা মাত্র কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা টুইটে কটাক্ষ করে লেখেন গণতন্ত্র নিয়ে রসিকতা চলছে। সংবিধান নিয়ে রসিকতা করা হচ্ছে।

কংগ্রেসের কটাক্ষ
কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা টুইটে কটাক্ষ করে লিখেছেন, সংবিধান নিয়ে উপহাস করছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। সংবিধান অনুযায়ী কাজ করেননি তিনি। তাঁর উচিত ছিল সরকার গঠনের জন্য প্রথমে সংখ্যা গরিষ্ঠ দলকে ডাকা। যার মধ্যে পড়ে শিবসেনা-বিজেপি জোট। তার পরে ডাকা উচিত ছিল দ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠ জোটকে। সেটা কংগ্রেস এবং এনসিপির জোট। তৃতীয়ত যদি তিনি পার্টি হিসেবে ডেকে থাকেন তাহলে কেন কংগ্রেসকে ডাকা হল না?। চতুর্থত, সময় নিয়ে একপেশে আচরণ দেিখয়েছেন রাজ্যপাল। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিজেপিকে যেখানে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। শিবসেনাকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এনসিপিকে ২৪ ঘণ্টাও সময় দেননি তিনি। তার আগেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ জানিয়েছেন রাজ্যপাল। পুরো সিদ্ধান্তটাই রাজনৈতিক স্বার্থ দেখে করা হয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন সুরজেওয়ালা।

কোর্টে যাবে শিবসেনা
এদিকে সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সময় না দেওয়ায় রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবসেনা। রাজ্যপাল কেন তাঁদের সময় চাওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন এই নিয়ে শীর্ষ আদালতে নালিশ ঠুকেছে শিবসেনা। শিবসেনার হয়ে এই আইনি লড়াই লড়বেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা কপিল সিবল।

মুম্বইয়ের কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা
পরিস্থিতি নিয়ে বিচারবিবেচনা করতে ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের পথে পাড়ি দিয়েছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা। রয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, আহমেদ পাটেল এবং কেসি বেনুগোপাল। মুম্বইয়ে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। এদিকে রাজ্যপাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত শরদ পাওয়ারকে সময় দিয়েছেন সরকার গঠন নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর।
বিজেপি কি শিক্ষা পেল মহারাষ্ট্র থেকে! নির্বাচনের আগে চাপ বাড়াচ্ছে জোট-সঙ্গীরা
সব জল্পনার অবসান, মহারাষ্ট্রে জারি রাষ্ট্রপতি শাসন