মহারাষ্ট্রের প্রতিবাদে লোকসভায় একজোট কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সভা মুলতুবির প্রস্তাব
মহারাষ্ট্রে বিজেপির রাজনীতির প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকেই তোলপাড় লোকসভা। একযোগে প্রতিবাদ দেখাল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস।
মহারাষ্ট্রে বিজেপির রাজনীতির প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকেই তোলপাড় লোকসভা। একযোগে প্রতিবাদ দেখাল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগও। মহরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের অন্তর্ঘাত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
প্রতিবাদে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস
অধিবেশন শুরু হতেই মহারাষ্ট্রে বিজেপির রাজনীতির প্রতিবাদে সরব হয়েছিল কংগ্রেস। লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং কংগ্রেসের চিফ হুইপ েক সুরেশ এই ঘটনার প্রতিবাদে মুলতুবি প্রস্তাব আনেন। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনা জোট বেঁধে যখন সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেছিল ঠিক তখনই বিজেপি এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে ফেলে। পুরোটাই বেআইনি দাবি করে কংগ্রেসের তরফে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে। সোমবার সংসদে কংগ্রেসের এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসও।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
আদালতে মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার গঠনকে বেআইনি দাবি করে যে মামলা করেছে কংগ্রেস, শিবসেনা এবং এনসিপি। তাতে সুপ্রিম কোর্ট সোমবার যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে আরও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্ট আজই ফড়নবীশদের বিধায়কদের সমর্থন পত্র পেশ করতে বলা হয়েছে। কংগ্রেস আশা করেছিল আদালত আস্থা ভোটে যেতে বলবে। কিন্তু কার কোনওটা না হওয়ায় আরও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। তারপরেই সংসদে স্থগিতাদেশ চেয়ে নোটিস আনেন অধীর চৌধুরীরা।
মহারাষ্ট্র সরকার গড়েছে বিজেপি
এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের সমর্থন নিয়ে মহারাষ্ট্রে রাতারাতি সরকার গড়ে ফেলেছে বিজেপি। শনিবার সকাল আটটায় রাজভবনে শপথ নিয়ে ফেলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন অজিত পাওয়ার। শনিবারে সকালে বিজেপি এই পদক্ষেপ চমকে গিয়েছে গোটা দেশকে। এই নিয়ে আজও সরগরম গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল।