৪.৮ কোটি টাকা তছরূপ, সত্যেন্দ্র জৈনকে অপসারণের দাবি কংগ্রেস-বিজেপির
৪.৮ কোটি টাকা তছরূপ, সত্যেন্দ্র জৈনকে অপসারণের দাবি কংগ্রেস-বিজেপির
দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রতিনিধি যে দলের মূলমন্ত্র সেই দলের কোনও ভাবেই থাকা উচিত নয় সত্যেন্দ্র জৈনের মত ব্যক্তির। ৪.৮ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। সত্যন্দ্র জৈনকে অপসারণের দাবিতে সরব কংগ্রেস-বিজেপি। তাঁদের দাবি যদি দুর্নীতির কারণে পাঞ্জাবে আপ সরকার নিজের দলের মন্ত্রীকে অপসারণ করতে পারে। ভগবত মান পারলে কেজরিওয়াল কেন পারবেন না। দাবি তুলেছেন বিজেপি-কংগ্রেস নেতারা।
গ্রেফতার সত্যেন্দ্র জৈন
নয় নয় করে ৪.৮ কোটি টাকার কারচুপি করেছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। ইডির হাতে গতকাল রাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। আপাতত ইডি হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। আজ তাঁকে আদালতে পেশ করার কথা। সত্যেন্দ্র জৈনের গ্রেফতার হওয়ার পরেই বেশ চাপে পড়েছে কেজরিওয়াল সরকার। কারণ স্বচ্ছ, দুর্নীতি মুক্ত, আম জনতার মতই ভাবমূর্তি থাকবে জনপ্রতিনিধিদের এমন ভাবধারা নিেয়ই এগিয়েছেন কেজরিওয়াল। আম আদমি পার্টির সেই ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছেন সত্যেন্দ্র জৈন।
সত্যেন্দ্র জৈনকে অপসারণের দাবি
সত্যেন্দ্র জৈনকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস এবং বিজেপি। দিল্লির কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সত্যেন্দ্র জৈনকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যেভাবে পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি সরকার যেভাবে দুর্নীতির অভিযোগে নিজের দলের মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে। সেইভাবেই যেন সত্যেন্দ্র জৈনকে বরখাস্ত করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এমনই দাবি তুলেছেন তাঁরা।
আম আদমি পার্টিতে জোর ধাক্কা
সত্যেন্দ্র জৈনের গ্রেফতারির পরে আম আদমি পার্টির স্বচ্ছতার ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ দিল্লি থেকে পাঞ্জাব সর্বত্র আম আদমি পার্টি এই স্বচ্ছ, দুর্নীতি মুক্ত ভাবমূর্তির উপর ভর করেই আম জনতার ভরসা জিতেছেন। জনতার রায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন থেকে শুরু করে। আম জনতার জন্য কাজ করা। জন প্রতিনিধিদের মন্ত্রী হিসেবে নয় আম জনতা মত দেখার ভাবনা চিন্তা প্রথম আম আদমি পার্টিই নিয়ে আসে। সেখানে কেজরিওয়ালের একেবারে ঘনিষ্ঠ সহযোগীর এই কুকীর্তি চমকে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলকে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি
সত্যেন্দ্র জৈনের গ্রেফতারির নেপথ্যে যে মোদী সরকারে বড় রাজনৈতিক চাল রয়েছে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে হয়েগিয়েছে। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধী শিবিরের নেতাদের উপরে চাপ বাড়ছে। বিরোধী শিবিরের নেতাদের ঘরে ইডি-সিবিআই হানা এখন আম বাত হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে থেকে শুরু করে হেমন্ত সোরেন সকলের বাড়িতেই হানা দিয়েছে ইডি। বিরোধীদের চাপে রাখতেই মোদী সরকারের এই চাল বলে মনে করা হচ্ছ।