কয়লায় হাত ময়লা মোদী সরকারের! কেলেঙ্কারির নতুন অভিযোগ রাহুলের দলের
কয়লায় হাত ময়লা করেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। এমনটাই অভিযোগ করল কংগ্রেস। কয়লা আমদানিতে ২৯ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ করেছে তারা।
কয়লায় হাত ময়লা করেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। এমনটাই অভিযোগ করল কংগ্রেস। কয়লা আমদানিতে ২৯ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ করেছে তারা। মোদী ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে সিট গঠনের দাবিও তোলা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।
ঘটনার কথা জানার পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কয়লা আমদানির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
জয়রাম রমেশের দাবি, অভিযোগ ওঠার পর থেকে মোদী সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনবার বৈঠক করেছেন। যদিও বিষয়টি তাদের বৈঠকে ওঠেনি বলে অভিযোগ। জয়রাম রমেশ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকার জন্য।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, ২০১৪-র অক্টোবরে ডায়রেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স কয়লা আমদানিতে কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ করেছিল। এনিয়ে তদন্তেরও আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
২০১৬-র ৩১ মার্চ ডায়রেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স জানায়, কয়লা আমদানির কেলেঙ্কারিতে ৪০ টি কোম্পানি জড়িত রয়েছে। প্রায় ২৯ হাজার কোটির কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জয়রাম রমেশ।
জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন, ডিআরআই তদন্তের জন্য বিদেশে থাকা এসবিআই-এর শাখাতেও চিঠি দিয়েছিল। বিদেশের ওই সব এসবিআই শাখার মাধ্যমে কয়লা আমদানির লেনদেন হয়েছিল।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তদন্ত থমকে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জয়রাম রমেশ। এখনও পর্যন্ত ৪০ টির মধ্যে মাত্র ৪ টি কোম্পানির কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ডিআরআই।
জয়রাম রমেশের অভিযোগ, সরকারের ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিরা ওই কয়লা আমদানির সঙ্গে যুক্ত থাকাতেই ডিআরআই-এর অভিযোগের চারবছর পরেও তদন্তে অগ্রগতি হয়নি। যদি এইসব শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে সরকার পড়ে যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন জয়রাম রমেশ।
কেলেঙ্কারিতে সিট গঠন করে তদন্তের দাবিতে ২০১৭-র সেপ্টেম্বরে দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন, ডায়রেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের যাবতীয় বাধা দূর করে তদন্তের পাশাপাশি ডিআরআই-এর হাতে থাকা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিষয়টি নিয়ে সিঙ্গাপুর সরকারের সঙ্গে কথা বলা হোক।
রমেশ আরও অভিযোগ করে বলেছেন, এসবিআই সিঙ্গাপুর যাতে তাদের হাতে থাকা তথ্য ডিআরআই-এর হাতে না তুলে দেয়, তার জন্য সিঙ্গাপুর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিল্পপতিরা। সেখানে ধাক্কা খাওয়ার পর এবার ডিআরআই-এর তদন্তে বাধা দিতে মুম্বই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
দেশের ৭০ শতাংশ কয়লা আমদানি করা হয় এইসব শিল্পপতিদের দ্বারাই, জানিয়েছেন জয়রাম রমেশ।