কংগ্রেস নেতারা বিজেপির বরিষ্ঠদের মতো নয়, তাঁরা ৭০ বছরেই অবসর নেবেন : জয়রাম রমেশ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমনতরো মন্তব্যে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেধে কংগ্রেসের অন্দরে বাহিরে। এই বিতর্ককে আরও উস্কে দিয়ে জয়রাম রমেশ বলেছেন, রাহুল গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হবেন তখন ক্যাবিনেটে শুধুমাত্র পরবর্তী প্রজন্মই থাকবেন।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে চাপে পড়বেন দলের বেশ কিছু বরিষ্ঠ নেতা। কংগ্রেসের বাইরে অন্য রাজনৈতিক দলগুলিরও কী এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত তর্ক শুরু হয়েছে তা নিয়েও।
সম্প্রতি লোকসভা ভোটে কেন্দ্র বন্টন নিয়ে বিজেপির ৮৬ বছরের আদবানী ও ৭৬ বছরের যশবন্ত সিংকে যেভাবে কোণঠাসা করেছে দল তা দেখেই এমন উক্তি করেছেন জয়রাম। জয়রাম বলেন, কংগ্রেসের নেতারা বিজেপির বরিষ্ঠ নেতাদের মতো না। তারা ৭০ বছরেই অবসর নিতে প্রস্তুত হবেন।
'কোনও সংগঠনকে উজ্জীবিত করতে পরবর্তী প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন'
এদিকে জয়রাম রমেশের মন্তব্যে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। লোকসভা ভোটে টিকিট পাওয়া ও কেন্দ্র বাছাই নিয়ে দলের বরিষ্ঠ বেশ কিছু নেতা দলের বিরোধিতা করেন। যেভাবে দল তাদের কোণঠাসা করছে তা না-পসন্দ আদবানী, যশবন্ত সিং সহ দলের বেশ কিছু বরিষ্ঠ নেতার। বিজেপির বিরুদ্ধে রীতিমতো জেহাদ ঘোষণা করে বারমের কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াচ্ছেন যশবন্ত।
জয়রামের কথায়, কোনও সংগঠনকে উজ্জীবিত করতে পরবর্তী প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দেওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে কোনও সন্দেহও নেই যে কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতারা সেটা বোঝেন এবং সে কারণে প্রতিনিয়ত এই নতুন প্রজন্মের মুখ উঠে আসছে নেতৃত্বে। এমনটা বলে মূলত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সহ অন্য়ান্য বরিষ্ঠ নেতাদের প্রসঙ্গই টেনেছেন তিনি, যারা এবছর লোকসভা ভোটে দাঁড়াবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবারের ভোটে দাঁড়াবেন না সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাতে তাদের মুখ গোমড়া হয়নি বলেই দাবি রমেশের। তিনি বলেন, আমাদের দেশ তরুণ প্রজন্মের জন্য। এছানে ৭০ বছর হয়ে গেলেই নেতাদের উচিত উপদেষ্টা কমিটিতে যোগ দেওয়া।