জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত, নির্বাচন পরবর্তী যুদ্ধের প্রস্তুতি মোদী শিবিরে

আজ, বুধবার, সভাপতি রাজনাথ সিং, অরুণ জেটলি, নীতিন গড়কড়ির মতো বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শ নিতে একটি বৈঠক করবেন মোদী। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হবে গুজরাতের পরবর্তী উত্তরাধিকার এবং ১৬ মে-র পর মোদীর নেতৃত্বে যে কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হবে তার সীমাসূচক রেখা নির্ধারণ।
বুধবার এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসার আগে দলের আগামী কর্মসূচি কী হবে তা নিয়েও দিল্লিতে নিজের বাড়িতে রাজনাথ সিং নীতিন গড়কড়ির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় বসেন। সোমবার গান্ধীনগরে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও গড়কড়ি কথা বলেছেন বলে সূত্রের খবর। দলের কর্মসূচির ক্ষেত্রে সংঘ পরিবারের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিল্লিতে দলের বরিষ্ঠ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানীর সঙ্গেও দেখা করেছেন গড়কড়ি। বর্তমান পরিস্থিতি এবং নির্বাচন পরবর্তী ঘটনাকল্প নিয়ে এদিন বিষদে আদবানীর সঙ্গে আলোচনা করেন নীতিন গড়কড়। বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিজেপির যেহেতু অগ্রণী ভূমিকায় থাকাটা নিশ্চিত তাই, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ১৬ মে ভোট গণনার পর কী পরিকল্পনা হওয়া উচিত তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে নেতৃত্ব।
বিজেপির বিশ্বস্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী, বেশ কিছুদিন ধরেই দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা একে অপরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। সমস্ত প্রেক্ষাপট খতিয়ে দেখে কী ধরণের পরিকল্পনা নেওয়া উচিত তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। সঙ্ঘ পরিবার ছাড়াও এই আলোচনায় সামিল করা হয়েছে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংকেও। যদিও এই বৈঠকগুলির একটাতেও সুষমা স্বরাজের দেখা না মেলায় কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান, সরকারে আসার আগেই এই ধরণের আলাপ -আলোচনার মধ্য দিয়ে মোদী আসলে এই বার্তাই পৌছতে চাইছেন যে স্বৈরচারী নেতা হিসাবে তার নামে যতই অভিযোগ তোলা হোক না কেন, আসলে তিনি এমনটি নন, বরং ঐক্যমতের নীতিতেই বিশ্বাসী তিনি।