ভারতের এই গ্রামে বিতরণ করা হচ্ছে কন্ডোম! মহিলাদের এখনই প্রেগনেন্ট না হওয়ার পরামর্শ, কিন্তু কেন?
এখনও দেশজুড়ে করোনা মারণ ভাইরাস যায়নি। ভয়ঙ্কর ভাবে বেশ কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে চলেছে। এই অবস্থায় সবাইকে কড়া ভাবে কোভিড বিধি মানতে বলা হয়েছে। আর এই আতঙ্কের মধ্যে গবেষকরা বলছেন সেপ্টেম্বরে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে
এখনও দেশজুড়ে করোনা মারণ ভাইরাস যায়নি। ভয়ঙ্কর ভাবে বেশ কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে চলেছে। এই অবস্থায় সবাইকে কড়া ভাবে কোভিড বিধি মানতে বলা হয়েছে। আর এই আতঙ্কের মধ্যে গবেষকরা বলছেন সেপ্টেম্বরে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে মারণ ভাইরাসের থার্ড ওয়েভ। আর এই আতঙ্কের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আরও এক ভাইরাস।
জিকা ভাইরাস (Zika Virus) নতুন করে ছড়াতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন আগে কেরলে নতুন করে জিকা ভাইরাস ছড়াতে থাকে। দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যেও নতুন করে জিকার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আর সেদিকে তাকিয়ে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ একগুচ্ছ সতর্কতা জারি করেছে। বিশেষ করে মহিলাদের সতর্ক করে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পরামর্শ, আগামী চারমাস প্রেগনেন্ট না হওয়ার জন্যে।
ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে!
প্রকাশিত খবর মোতাবেক মহারাষ্ট্রের পুনের বালেশ্বর গ্রামে জিকা (Zika Virus) ভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই কার্যত হইচই বেঁধে গিয়েছে। রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ উচ্চ পর্যায়ের একটি হাই-অ্যালার্ট জারি করেছে। এই ভাইরাস যাতে না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্যে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কন্ডোমের প্যাকেট দেওয়া। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সংক্রমণ রুখতে এই প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে।
ভয়ঙ্কর ভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে
একে রক্ষে নেই ফের আবার জিকার আতঙ্ক! ডাক্তারা বলছেন, এডিস মশা থেকে ভয়াবহ এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। কোনও ব্যক্তি যদি মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যান এবং নিজের অজান্তেই যদি শারীরিক সম্পূর্ণ তৈরি করেন তাহলে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সবথেকে আতঙ্কের খবর এই যে, এই ভাইরাস পুরুষের শরীরে চারমাস পর্যন্ত থাকতে পারে। এই অবস্থায় কোনও পুরুষ যদি শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে তাহলে মহিলাদের বাচ্চাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জন্মাবে।
ফলে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হবে। আশঙ্কা চিকিৎসকদের। অন্যদিকে সংক্রমিত কোনও ব্যক্তিকে যদি মশা কামড়ে অন্যকেও কামড়ায় তাতেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরে কি পরিবর্তন হতে পারে
জিকা ভাইরাস নিয়ে এখনও গবেষণা চালাচ্ছেন গবেষক থেকে শুরু করে চিকিৎসকরা। গবেষকরা বলছেন, জিকা ভাইরাসের লক্ষ্মণ ডেঙ্গুর মতো হতে পারে। শুধু তাই নয়, এই ভাইরাস শরীরে আক্রমণ করলে জ্বর আসতে পারে। গোটা শরীরে র্যাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
শুধু তাই নয়, শরীর জুড়ে ব্যাপক ব্যাথা অনুভব করবেন। এখনও পর্যন্ত জিকা ভাইরাসের জন্যে কোনও ভ্যাকসিন বের হয়নি। এমনকি কোনও ওষুধ কিংবা চিকিৎসা পদ্ধতিও নেই। এই ভাইরাস থেকে বাচার একমাত্র পথ হল সাবধান। এই ভাইরাসের কারণে বাচ্চাদের বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। মস্তিষ্কে বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। এমনকি প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে আগেও বাচ্চা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সংক্রমণ রুখতে ব্যাপক ভাবে কন্ডোমের প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে
জিকা ভাইরাস রুখতে ভয়ঙ্কর ভাবে গোটা গ্রামে কন্ডোমের প্যাকেট বিতরন করা হচ্ছে। গ্রামের পুরুষদের এই বিষয়ে সাবধান করা হচ্ছে। কন্ডোম ছাড়া কোনও সম্পর্ক তাঁরা যেন না তৈরি করেন। এমনকি মহিলাদেরও এই বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। প্রশাসনের চিকিৎসকরা এই বিষয়ে সতর্ক করছেন।
বলা হয়েছে আগামী চার মাস গর্ভবতী হওয়ার কোনও প্ল্যানিং থাকলে তা আপাতত সে পথে না হাটার জন্যে মহিলাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পরামর্শ আতঙ্কিত হবেন না। দ্রুত এই খারাপ পরস্থিতি থেকে আমরা বেরিয়ে যাব বলে আশাবাদী প্রশাসন।