উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ছোট শহরগুলি! করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো নিয়ে চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ছোট শহরগুলি! করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো নিয়ে চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা
ইতিমধ্যেই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে। মৃতের সংখ্যার ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের বড় শহর গুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ছোট শহর গুলিতেও। বর্তমানে ভারতের করোনা মানচিত্রে বেশ কিছু উদ্বেগজনক পরিবর্তনের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরাও। বড়সড় পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে ১৬ই জুলাই গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ থেকে বর্তমান সময়ে ২০ লক্ষের গণ্ডি পার করা পর্যন্ত সময়েও।
মোট করোনা আক্রান্তদের ১৬ থেকে ২৮ শতাংশের বাস বড় শহর গুলিতে
এদিকে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য গুলিতে করোনা আক্রান্তের আধিক্য যেখানে মূলত বড় শহর গুলিতে, সেখানে উল্টো চিত্র ধরা পড়ছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে। এদিকে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রোগীদের ১৬ থেকে ২৮ শতাংশের বাস শুধুমাত্র বড় শহরগুলিতে। বাকি বাকি সকলেই ছোট শহর বা শহরতলির বাসিন্দা।
চিন্তা বাড়াচ্ছে ছোট শহর গুলির করোনা সংক্রমণ
এই চিত্র সত্যিই যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যেহেতু উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা ও পরিকাঠামো মূলত দেশের বড় শহর গুলির মধ্যেই অনেকটা সীমাবদ্ধ সেখানে শহরতলি বা গ্রামাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ বাড়লে তা স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে আটকানো যথেষ্ট দুষ্কর হবে বলেই মত তাদের। এই ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা দেখলেই চিত্রটা খানিক পরিষ্কার হয়।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক বাংলার চিত্র
পরিসংখ্যান মোতাবেক দেখা যাচ্ছে বাংলার মোট করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাধীনদের ৭২.৭ শতাংশই বৃহত্তর কলকাতার বাসিন্দা। যার মধ্যে পড়ছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া ও হুগলীর বাসিন্দারাও। এদিকে বর্তমানে রাজ্যের মোট ১৯টি সরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৭টা কলকাতার। একইভাবে মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও ৬৫.৪ শতাংশ করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে বৃহত্তর মু্ম্বই থেকে। যার মধ্যে রয়েছে থানেও।
দেশের ৮০ শতাংশ ডাক্তার ও ৬০ শতাংশ হাসপাতাল রয়েছে শহরাঞ্চলে
অন্যদিকে গুজরাটের মোট কেসের ৬৭ শতাংশই এসেছে আহমেদাবাদ-গান্ধীনগর, সুরাত, ভোদোদরা এবং রাজকোট থেকে। এদিকে উত্তরপ্রদেশের মোট চিকিৎসাধীন রোগীদের ২৭ শতাংশ লখনউ, কানপুর, গাজিয়াবাদ-নয়ডা, আগ্রা এবং মীরাট থেকে এসেছে। এদিকে এটা ধ্রুব সত্য যে দেশের ৮০ শতাংশ ডাক্তার ও ৬০ শতাংশ হাসপাতালই রয়েছে দেশের শহরাঞ্চলে, বা বলা ভাল বড় শহর গুলিতে। সেখানে শহরতলি ও মফস্বল ও গ্রামাঞ্চলে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকলে কী ভাবে তা রোখা যাবে তা নিয়ে এখনই সরকারের কোমর বেঁধে মাঠে নামা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিনের সাথে চুক্তি! করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনে বেজিংয়ের সাথে হাত মেলাল অ্যাস্ট্রাজেনেকা