মোদীতে মুগ্ধ কমিউনিস্ট মানিক, সুশাসন নিয়ে ভাষণ দেওয়ার আহ্বান
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদীর কখনও প্রশংসা করেনি সিপিএম। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও নয়। কিন্তু দলের এই নীতির তোয়াক্কা না করে বরাবরই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন ত্রিপুরার এই কর্মঠ মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানানোই হোক কিংবা গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়াতে অনুরোধ করা, কিছুতেই পিছপা হননি মানিকবাবু। তাঁর কথায়, ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদী নন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কর্মদক্ষতায় মুগ্ধ। এটা আখেরে শিখতে পারলে ত্রিপুরাই লাভবান হবে।
এখন উত্তর-পূর্ব ভারত সফরে বেরিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রও উদ্বোধন করবেন তিনি। সম্ভবত সোমবারই তিনি আসবেন ত্রিপুরায়। মানিকবাবুর ইচ্ছা, সেই ফাঁকে আগরতলায় রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে বসুন প্রধানমন্ত্রী। দক্ষ প্রশাসন নিয়ে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ থেকে একটানা ক্ষমতায় রয়েছেন মানিক সরকার। ত্রিপুরায় তিনিই সিপিএমের মুখ। কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে তারা সাফ হয়ে গেলেও ত্রিপুরাতে রমরম করে টিকে রয়েছে। ২০১৩ সালের বিধানসভা ভোটে ৫০টি আসনই জিতেছে সিপিএম। ত্রিপুরা বিধানসভায় মোট আসন হল ৬০।
মানিকবাবুর মন্তব্যে স্পষ্টতই বিব্রত সিপিএম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, "এটা গণতন্ত্রে চলতেই পারে। উনি তো প্রধানমন্ত্রীকে ডেকেছেন। এখানে ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদী বড় কথা নয়।"
মজার ব্যাপার হল, মানিকবাবুর সতীর্থ তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের সর্বনাশ হবে। 'মোদীর দিল্লি কা লাড্ডু' না খাওয়ার কথা বলেছিলেন বুদ্ধবাবু।