
রাজধানীর বুকে সাম্প্রদায়িক স্লোগান, পুলিশি হেফাজতে প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র! চাপের মুখেই গ্রেফতারি?
যন্তর-মন্তরে ভারত জড়ো আন্দোলনের জনসভাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই উত্তাল দিল্লির রাজ্য-রাজ্যনীকি। ওই জনসভার মঞ্চ থেকেই সাম্প্রদায়িক স্লোগান তোলার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে বেশ কিছু ভিডিও। আর তারপরেই অজ্ঞাত পরিচয় জনা দশেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। এবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজককেও গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ।

চাপের মুখে নড়েচড়ে বসল পুলিশ ?
এদিকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায়৷ কিন্তু ১০ অজ্ঞাত পরিচয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও তাঁর বিরুদ্ধে শুরুতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দিল্লি পুলিশ। এদিকে পুলিশের অনুমতি না নিয়ে জমায়েত এবং কোভিড বিধি অমান্যের অভিযোগ উঠেছে অশ্বিনী উপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি সরকার ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

গ্রেফতার ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন মুখপাত্র
অবশেষে চাপের মুখে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন মুখপাত্রকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হল দিল্লি পুলিশ। এদিকে দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি চেয়েছিলেন৷ কিন্তু কোভিড গাইডলাইনের জন্য জমায়েতের অনুমতি প্রথমে দেওয়া হয়নি৷ কিন্তু তারপরেও চলে অনুষ্ঠান। পুলিশি বিধি অমান্য করাতেই আমরা তাদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছি। অন্যদিকে অশ্বিনী উপাধ্যায় ছাড়াও বিনোদ শর্মা, দীপক সিং, দীপক, বিনিত ক্রান্তি, প্রীত সিং নামে আরও ছয় পদ্ম ভক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

দিল্লির পুলিশের জেরার মুখে বিজেপি নেতা
এদিকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ এবং ১৮৮ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে এই ঘটনার বিরুদ্ধে বিশদে জানতে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিজেপির অশ্বিনী উপাধ্যায় এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দিল্লি পুলিশ। অন্যদিকে সোমবার বিজেপি নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কনাট প্লেস থানায় হাজিরা দিতেও বলা হয়েছিল দিল্লি পুলিশের তরফে।

একনজরে আসল প্রেক্ষাপট
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 'ভারত জড়ো আন্দোলনের' নামের এই সভার ভিডিয়ো টুইট করে এর আগে আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ট্যাগ করেছেন অশ্বিনী উপাধ্যায়। আর তাতেই উঠেছে একাধিক সাম্প্রদায়িক স্লোগান। অন্যদিকে ২০১৪ সালে দিল্লি মসনদে বসার পর থেকেই দেশজুড় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে কোমড় বেঁধে নামে মোদী সরকার। বর্তমানে দিল্লি হাইকোর্টের সমর্থন মেলার পর এই বিধি প্রণয়নের পথে নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। বর্তমানে এই আইনের পক্ষে জনসমর্থন আদায় করতেই এই সভা ডাকা হয়েছিল দিল্লির বুকে।