দেশের সব সঙ্কটের মূলে দায়ী কংগ্রেস, নরেন্দ্র মোদীর 'মহাগর্জন'

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস যেখানে এখনও প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থীই ঠিক করতে পারেনি, সেখানে বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী তাঁর সব জনসমাবেশে নিয়ম করে বিঁধছেন কংগ্রেসকে। এদিন তিনি বলেছেন, "ক্ষমতায় থাকার জন্য কংগ্রেস ইংরেজদের মতোই 'বিভাজন ও শাসননীতি' অনুসরণ করে। এছাড়া আর কোনও কিছু নিয়ে ওরা ভাবে না। ১৯৬০ সালের পয়লা মে মহারাষ্ট্র ভেঙে গুজরাত রাজ্যের জন্ম হয়েছিল। তার পর থেকে গুজরাতে ১৪জন মুখ্যমন্ত্রী কুর্সিতে বসেছেন। আর মহারাষ্ট্রে ২৬জন। এটা কী ধরনের সুশাসন? জনবিস্ফোরণ, ইতিহাস কিংবা ভূগোল নয়, কংগ্রেসের অপশাসনের কারণে আজ দেশে এত সমস্যা। এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্ত হতে চাইলে আগে দেশকে কংগ্রেসের থাবা থেকে ছাড়াতে হবে। নইলে যত চেষ্টাই করুন, কোনও লাভ হবে না।"
তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রদেশ যখন কংগ্রেসের শাসনে ছিল, তখন তাকে বলা হত 'বিমারু' রাজ্য। শিল্পপতিরা ওখানে বিনিয়োগ করতে সাহস পেতেন না। আর এখন শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে সেই রাজ্যই উঠে এসেছে প্রথম সারিতে। তাঁর দাবি, এখানেই বিজেপি-র শাসনের সঙ্গে কংগ্রেসের রাজত্বের পার্থক্য। বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুণ্ডের দাবি, এদিনের জনসভায় অন্তত দশ লক্ষ লোক হয়েছিল। দশ হাজার চা-বিক্রেতাকে চা বিক্রির আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বিজেপি।
এদিকে, রবিবার জনসভার আগে নরেন্দ্র মোদীর একটি মোমমূর্তির উন্মোচন করেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং। নিজের মোমমূর্তি দেখে অবাক হয়ে যান নরেন্দ্র মোদী। দু'জনে একসঙ্গে মূর্তিটির পাশে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন।