মজুত আছে মাত্র ৮-৯ দিনের কয়লা, কী ভাবে মিলবে বিদ্যুৎ? সঙ্কট বাড়ছে আরও
কয়লার অভাবে কার্যত আঁধারে ডুবতে চলেছে দেশ। পরিস্থিতি ঠিক করতে একাধিক পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু যাই করা হোক না কেন, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ৬ থেকে ১২
কয়লার অভাবে কার্যত আঁধারে ডুবতে চলেছে দেশ। পরিস্থিতি ঠিক করতে একাধিক পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু যাই করা হোক না কেন, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ৬ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত একই ভাবে কয়লা সঙ্কটে ভুগতে হবে গোটা দেশকে।
এই বিষয়ে শক্তি মন্ত্রক দফায় দফায় বৈঠক সেরেছে ইতিমধ্যেই। একাধিক রাজ্যের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনই সঙ্কট থেকে মুক্তি নেই।
ওয়াকিবহল মহলের মতে, এটাই দেশের সবথেকে খারাপ কয়লা সঙ্কট। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ জুড়ে জোগান কমে যাওয়ায় সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে চড়চড় করে বেড়েছে কয়লার দাম। প্রতি টন ৩০০ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল সেই দাম। আর তার প্রভাব থেকে বাদ পড়ছে না ভারতও।
এ দিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০১৫ সালের পর প্রথমবার কয়লা আমদানি করছে কোল ইন্ডিয়া। ১০ শতাংশ কয়লা তারা ভিনদেশ থেকে নিয়ে আসছে। এরপর সেই কয়লা কেন্দ্রের তরফে সরবরাহ করা হবে রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা বা কোনও বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে। গত ২৮ মে শক্তি মন্ত্রকের তরফে একটি চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
চলতি অর্থবর্ষে রেকর্ড পরিমান কয়লা উৎপন্ন করেছে কোল ইন্ডিয়া। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে উৎপন্ন হয়েছে ৬২২.৬ মিলিয়ন টন কয়লা। গত বছর উৎপন্ন হয়েছিল ৫৯৬.২ টন কয়লা। এক বছরে ৪ শতাংশ বেড়েছে কয়লা উৎপাদন। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না, কার তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে সেই কয়লাতেও কাজ মিটছে না।
জোগান দেওয়াই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ট্রেন রেকের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে কয়লা পৌঁছনো যাচ্ছে না অনেক সময়। দেশের অন্তত ৮৫ শতাংশ কেন্দ্রকেই একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই ওই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে যে পরিমাণ কয়লা মজুত থাকা প্রয়োজন, তা থাকছে না।
প্রতিদিন যেখানে ২৭৪৭ টন কয়লার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, সেখানে বর্তমানে মাত্র ২২ হাজার ১৬৯ টন কয়লা মজুত রয়েছে। তাই হিসেব বলছে, মাত্রা ৮ থেকে ৯ দিনের কয়লা মজুত রয়েছে দেশে। এই পরিস্থিতির জেরে দেশের একাধিক শহরে মাঝেমধ্যেই বিদ্যুতের সঙ্কট তৈরি হয়। আগামী কয়েক দিন সেই পরিস্থিতি থাকবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।