কয়লা দুর্নীতি মামলা! ৩ বছরের কারাদণ্ডের পর জামিন মঞ্জুর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায়ের
কয়লা দুর্নীতি মামলা! ৩ বছরের কারাদণ্ডের পর জামিন মঞ্জুর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায়ের
৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেয়েও অবশেষে জামিনে মুক্ত হলেন বাজপেয়ী সরকারের কয়লা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ রায়। ১৯৯৯ সালে ঝাড়খণ্ডে কয়লা ব্লক বণ্টনে অনিময়মের যে অভিযোগ ওঠে তাতে অন্যতম প্রধান অপরাধী হিসাবে নাম ছিল বিজেপি সরকারের এই প্রতিমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এদিন এই প্রভাবশালী মন্ত্রীর কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করে আদালত।
দিলীপ রায়ের যাবজ্জীবন সাজার জন্য সওয়াল সিবিআই-র
প্রসঙ্গত উল্লেখ, এদিনই কয়লা ব্লক বণ্টনে দুর্নীতির যে মামলা চলছিল তাতে এর আগেই দোষী সাব্যস্ত হন দিলীপ রায়। তারপরেই সোমবার তাঁকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় সিবিআই-র বিশেষ আদালত। অর্থাৎ, এখন থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জেলেই থাকতে হত দিলীপকে। এদিকে এই রায়ের পরেই ফের তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। যদিও এর আগে দিলীপ রায়ের যাবজ্জীবন সাজার জন্য আদালতের কাছে আবেদনও করেছিল সিবিআই।
১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডেই জামিন
এদিনের রায়ের পরেই ফের একদফা সওয়াল জবাবের পর অবশেষে দিলীপের জামিনও মঞ্জুর করেন বিচারক ভারত পরাশর। সূত্রের খবর, ব্যক্তিগত ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের মাধ্যমেই দিলীপের জামিনে সম্মতি দেয় আদালত। যদিও এই রায়েক পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৫ শে নভেম্বর পর্যন্ত তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থও হতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে।
কয়লা মন্ত্রকের দুই শীর্ষ আধিকারিকের জামিন মঞ্জুর
প্রসঙ্গত উল্লেখ, এদিন সকালের রায়ে দিলীপ রায়ের সাজা ঘোষণার সাথে সাথে তৎকালীন কয়লা মন্ত্রকের দুই শীর্ষ আধিকারিক প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও নিত্যানন্দ গৌতম এবং ক্যাস্ট্রন টেকনোলজিস লিমিটেডের অধিকর্তা মহেন্দ্র কুমার আগরওয়ালাকেও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানা যায়। পরে তাদেরও ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
এক নজরে কয়লা দুর্নীতি মামলার হাল হকিকত
এই ক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন, ঝাড়খণ্ডের গিরিডি-র ব্রহ্মডিহা কয়লা ব্লকের বিলি বন্টন নিয়েই মূলত ১৯৯৯ সালে অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে দিলীপ রায়ের বিরুদ্ধে। ১০৫.১৫৩ হেক্টরের একটি পরিত্যক্ত কয়লা খনিন নিয়ে ক্যাস্ট্রন টেকনোলজিস লিমিটেডের সঙ্গে বেআইনি চুক্তির কথাও শোনা যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে গত ৬ অক্টোবর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ (সরকারের প্রতিনিধির আস্থা ভঙ্গের অপরাধ), ৪২০ (প্রতারণা), ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং দুর্নীতি দমন আইনের একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন দিলীপ।
কলকাতা থেকে জেলা - বাংলার দুর্গাপুজোর নানা মুহূর্তের ছবি দেখুন একনজরে