মে থেকে অগাস্টেই ৬৬ লক্ষ উচ্চ বেতনভুক কর্মচারী ছাঁটাই! সিএমআইই-র রিপোর্টে চাঞ্চল্য
মে থেকে অগাস্টেই ৬৬ লক্ষ উচ্চ বেতনভুক কর্মচারী ছাঁটাই! সিএমআইই-র রিপোর্টে চাঞ্চল্য
ক্রমেই করোনা গ্রাসে তলিয়ে যাচ্চে গোটা দেশ। করোনাকালীন তীব্র আর্থিক মন্দায় কাজ হারিয়ে বেকার হয়েছেন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ। সদ্য প্রকাশিত সেন্টার ফর মনিটারিং ইণ্ডিয়ান ইকোনমিক বা সিএমআইই-র রিপোর্ট মোতাবেক বর্তমানে দেশের বেকারত্বের জাতীয় গড় দাঁড়িয়েছে ৮.৩৫ শতাংশে। এবার এই খাতে আরও আশঙ্কার কথা শোনাতে দেখা গেল সিএমআইইকে।
কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৬৬ লক্ষ উচ্চবেতনভুক কর্মচারী
সদ্য প্রকাশিত অপর একটি সিএমআইই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে মে থেকে অগাস্টের মধ্যে গোটা দেশে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৬৬ লক্ষ উচ্চ বেতনভুক কর্মচারীরা। যাদের মধ্যে রয়েছেন চিকিত্সক, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার সহ আরও একাধিক পেশার মানুষ। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পর থেকেই সমস্ত ক্ষেত্রে নতুন নিয়োগ কার্যত তলানিতে এসে ঠেকে।
কোন কোন ক্ষেত্রগুলিতে সর্বাধিক কর্মী ছাঁটাই ?
এদিকে করোনাকালে অসংগঠিত ক্ষেত্র ছাড়া অন্যান্য বেতনভুক কর্মীদের মধ্যে ২ কোটিরও বেশি মানুষ কাজ হারান বলে জানা যায়। বর্তমান রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যার সিংহভাগই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। সব থেকে বেশি কাজ গেছে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, চিকিত্সক, শিক্ষক, হিসাবরক্ষকদের। যদিও এই খাতে নতুন উদ্যোগপতিদের করুণ অবস্থার কথা উল্লেখ করলে তালিকা যে আরও দীর্ঘ হবে তা বলাই বাহুল্য।
কি বলছে গত বছরের পরিসংখ্যান ?
এদিকে সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে এই ২০১৯ সালে মে থেকে অগাস্টের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থায় একাধিক উচ্চপদে প্রায় ১.৮৮ কোটি মানুষের চাকরি হয়। এদিকে ওই একইসময়ে একইখাতে ২০২০ সালে কর্মসংস্থান কমে দাঁড়ায় ১.২২ কোটিতে। যা ২০৬ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন।
৫০ লক্ষেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই শিল্পাঞ্চলে
সিএমআইই সর্বশেষ তথ্যানুসারে, চলতি বছরে বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকেরাই সব থেকে বেশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। সামগ্রিক হিসাবে দেখা যাচ্ছে চলতি বছরেই এই ক্ষেত্রগুলিতে প্রায় ৫০ লক্ষেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। গত বছরের তুলনায় নতুন কর্মসংস্থানের হারও কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ।
লাদাখ সংঘাতের মাঝে ভারতের জলসীমায় চিনের জাহাজ! নৌসেনার ব়্যাডারে কী ধরা পড়ে