কুমারস্বামীর মাস্টারস্ট্রোক! কর্ণাটকে রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে বিজেপিকে পাল্টা চাল
কর্ণাটকে চূড়ান্ত রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হল। আর অধিবেশনের প্রথম দিনেই মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী।
কর্ণাটকে চূড়ান্ত রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হল। আর অধিবেশনের প্রথম দিনেই মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। মোক্ষম চাল দিয়ে তিনি নিজেই আস্থা ভোটের প্রস্তাব রাখলেন। তিনি বলেন, কয়েকজন বিধায়ক সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্য রাজনীতিতে সংকট তৈরি হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে আস্থাভোটের আবেদন জানাচ্ছি আমি।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে তৈরি
কুমারস্বামী জানান, স্পিকারের অনুমতি পেলে যে কোন মুহূর্তে তাঁর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে পারে। বর্তমান সরকারকে গদিচ্যুত করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দল। এর আগেও বারবার চেষ্টা করেছে, পারেনি গদিচ্যুত করতে, এবার উঠে-পড়ে লেগেছে ফের, আমরা প্রমাণ করে দেব কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের শক্তি বজায় রয়েছে।
রাজ্যের অচলাবস্থার জন্য দায়ী বিজেপিই
কুমারস্বামী একেবারে স্পষ্ট কথায়, রাজ্যের এই অচলাবস্থার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনা বেচার অভিযোগ এনেছেন। দলীয় বিধায়ক লুকিয়ে রাথতে হচ্ছে, যাতে বিজেপি তাঁদের নাগাল না পায়। এদিকে কংগ্রেসেও দফায় দফায় বিধায়কদের সাথে আলাপ আলোচনা চালাচ্ছে।
অচলাবস্থা জারি মঙ্গলবার পর্যন্ত
এদিকে কর্ণাটকে অচলাবস্থা জারি থাকল মঙ্গলবার পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্ট দুপক্ষের শুনানির পর জানিয়ে দিল ১০ বিধায়কের ইস্তফা সংক্রান্ত মামলার শুনানি ফের হবে মঙ্গলবার। ফলে শীর্ষ আদালতের এই রায়ের ফলেই কর্ণাটকে অচলাবস্থার শেষ হল না এদিনও। একইসঙ্গে আদালতের তরফে রাজ্যের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কুমারস্বামী সরকার সময় পাচ্ছে ৪ দিন
সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় পেয়ে যাচ্ছে কর্ণাটকের কংগ্রেস-জনতা দল সেকুলার (জেডিএস) জোট সরকার। এই চারদিনে বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে কোনওরকম রফায় পৌঁছতে পারে কি না, তা দেখার অপেক্ষায় রইল রাজনৈতিক মহল।
স্পিকারের আবেজন সুপ্রিম কোর্টে
শুক্রবারের মধ্যে বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে বৃহস্পতিবারই সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন বিধানসভা স্পিকার কে আর রমেশ কুমার। ওই বিধায়করা সকলেই স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন, নাকি তাদের ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে সময় লাগবে।
স্পিকারের আবেদনে মান্যতা শীর্ষ আদালতের
স্পিকারের এই আবেদনের পরই এদিন বিধায়কদের ইস্তফা সংক্রান্ত শুনানির দিন পিছিয়ে দেয় আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রমেশ কুমারের সঙ্গে দেখা করতে যান ১০ জন বিধায়ক। তাঁর কাছে নতুন করে ইস্তফাপত্র জমা দেন তারা।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে কুমারস্বামী সরকার গভীর বিপাকে, সুপ্রিম-নির্দেশেও কাটল না অচলাবস্থা ]