'নীতি আয়োগে রাজ্যের লাভ হয়নি', মোদীকে সরাসরি চিঠি লিখে বিরোধিতা মমতার
আসন্ন নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির হচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আসন্ন নীতি আয়োগের যে বৈঠক নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর হতে চলেছে সেই বৈঠকে হাজির হচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেই হাজির থাকবেন না বলে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরাসরি চিঠি মোদীকে
চিঠি লিখে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, নীতি আয়োগের তরফে রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে একটি চিঠি এসেছে। সেখানে বৈঠকে হাজির থাকার জন্য বলা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কতগুলি কথা আপনাকে বলতে চাই। ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট আপনি পরিকল্পনা কমিশনের মতো একটি সংস্থাকে তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ গঠন করলেন। যদিও পরিকল্পনা কমিশন একটি গণতান্ত্রিক নীতি নিয়ে সারাদেশে কাজ করত। এবং অর্থনীতির যে উদ্দেশ্য গুলো আছে তা পূরণ করার চেষ্টা করত।
একপেশে কমিশন
তবে হঠাৎ দেখলাম একপেশে ভাবে আপনি কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে পরিকল্পনা কমিশন তুলে দিলেন। তারপর থেকে যতগুলি বৈঠক হয়েছে তাতে রাজ্যের খুব বেশি লাভ হয়নি। নীতি আয়োগের সমালোচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, নীতি আয়োগের হাতে কোনও ক্ষমতা নেই। তারা সঠিকভাবে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করতে পারবে না। ফলে এই ধরনের বৈঠকে উপস্থিত থেকে রাজ্যের কোনও সুবিধা হবে না।
অভিজ্ঞতা সুখকর নয়
গত সাড়ে চার বছরের যে অভিজ্ঞতা তা খুব একটা সুখকর নয়। তাই এই বৈঠকে উপস্থিত থাকা আমরা কোনও প্রয়োজন মনে করছি না। এই বলে বৈঠকে থাকবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মমতা।
মোদী বিরোধিতায় মমতা
প্রসঙ্গত নীতি আয়োগ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর মতোই প্রথম থেকেই একপেশে অবস্থানে রয়েছেন। পরিকল্পনা কমিশনকে সরিয়ে দিয়ে মোদী সরকারের নীতি আয়োগকে দিয়ে কাজ চালানো তিনি প্রথম থেকেই মানতে পারেননি। এবং লোকসভা ভোট কেটে যাওয়ার পরও তিনি যে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একই অবস্থানে রয়েছেন, তা নীতি আয়োগের বৈঠকে গরহাজির থেকে ফের একবার বুঝিয়ে দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন:মমতা প্রশান্ত কিশোরকে নিয়েছেন ভালো কথা, কিন্তু দলের মাতব্বররা তাঁর উপদেশ শুনবে তো?]