মোদী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মমতা, বৈঠকের মাঝেই ছুড়লেন প্রশ্নবাণ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানালেন, রাজ্যের কাজে হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় ব্যাঘাত ঘটাবেন না। রাজ্যের কাজ রাজ্যকে করতে দিন।
রাজ্যের কাজে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় নীতির আয়োগের বৈঠকে গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লক্ষ্য করে তিনি সাফ জানালেন, রাজ্যের কাজে হস্তক্ষপ করে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় ব্যাঘাত ঘটাবেন না। রাজ্যের কাজ রাজ্যকে করতে দিন। কেননা রাজ্যের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন রাজ্যকেই করতে হবে। সেখানে হস্তক্ষেপ মানেই উন্নয়নে ব্যাঘাত। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, রাজ্যের কাজে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ তিনি বরদাস্ত করবেন না।
ভালো কাজেও অর্থবরাদ্দ কম কেন? নীতি আয়োগের বৈঠকে মোদীর সামনে প্রশ্নের ঝড় তুললেন মমতা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য বলেন, আপনিই বলছেন রাজ্যগুলে ভালো কাজ করেছে, পশ্চিমবাংলাও ভালো কাজ করেছে, তাহলে অর্থবরাদ্দ এত কম কেন? কেন বকেয়া মেটানো হচ্ছে না?
[আরও পড়ুন: মোদীকে ডিজিটাল-চ্যালেঞ্জ! দিল্লি-দখলের লক্ষ্যে ৪০ হাজার 'সেনা' নামাচ্ছেন মমতা]
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদেরও সম্মিলিত বিরোধিতার মুখে পড়েন। তবু তার মধ্যে নরেন্দ্র মোদী সেই সবাইকে একজোট করার চেষ্টা করেন। বলেন, আমাদের এক জোট হয়ে সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে। কাজ করতে হবে টিম ইন্ডিয়া হিসেবে।
কিন্তু কথায়-কাজে মোদীর মিল নেই বলে এদিন সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ চার মুখ্যমন্ত্রী। নীতি আয়োগের বৈঠকেও চার মুখ্যমন্ত্রীর জোটবদ্ধ বিরোধিতা মোদীকে চাপে ফেলে দেয়। নীতি আয়োগের বৈঠকের মাঝেই দিল্লির অচলাবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উপরাজ্যপালের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে ধরনায় বসেছেন। দিল্লির এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজনীতি করছেন বলেও একযোগে প্রতিবাদ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পিনারাই বিজয়ন, কুমারস্বামী ও চন্দ্রবাবু নাইডুরা। এদিন মমতা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।
[আরও পড়ুন:তৃণমূলের সিপিএম-সখ্যে নয়া সমীকরণের জল্পনা, মোদী-বিরোধিতায় একাসনে মমতা-বিজয়ন]
এদিন নীতি আয়োগের বৈঠকের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলাদা করে কথা বলেন। দাবি জানান, অবিলম্বে বকেয়া মিটিয়ে রাজ্যকে কাজের স্বাধীনতা দিতে। অযথা কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ করতেও তিনি আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এদিন মোদী সরকারে নীতির বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি।