AFSPA নিয়ে খুব শীঘ্রই হতে পারে কিছু positive developments! বড়সড় ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে
নাগা যুবকদের গুলি করে হত্যার ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা নাগাল্যান্ডে। AFSPA প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তাল সে রাজ্য। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিও। নাগাল্যান্ড সহ একাধিক রাজ্য কে
নাগা যুবকদের গুলি করে হত্যার ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা নাগাল্যান্ডে। AFSPA প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তাল সে রাজ্য। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিও। নাগাল্যান্ড সহ একাধিক রাজ্য কেন্দ্রের কাছে AFSPA প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এমনকি বিজেপি নেতৃত্বও এই বিষয়ে সরকারকে ভেবে দেখার আবেদন জানিয়েছে। আর এই অবস্থায় আসার কথা শোনালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর দাবি, খুব শিঘ্রই AFSPA নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
গত কয়েকদিন আগেই AFSPA প্রত্যাহার নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন অমিত শাহ। বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আফস্পা পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন অমিত শাহ। নির্দেশ অনুযায়ী ওই কমিটি ৪৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। তারপরেই আফস্পার পাশাপাশি উপদ্রুত এলাকা আইন প্রত্যাহারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আর এরপরেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, অসম, নাগাল্যান্ড সহ একাধিক রাজ্যে AFSPA নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। আগামী ৪৫ দিনের মাথাতেই positive decision হতে পারে বলেও আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। এমনকি প্রতিবেশী নাগাল্যান্ডও ঘটনাক্রম অনুসারে "some positive developments" হতে পারে বলেও আশ্বাস তাঁর।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, এখনও পর্যন্ত অসমেও AFSPA লাঘু রয়েছে। কিন্তু জঙ্গি কার্যকলাপ এখন অনেকই কমে গিয়েছে। আর সেদিকে তাকিয়ে পাঁচ-ছয়টি রাজ্য বাদে সেনা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে AFSPA নিয়ে সমীক্ষা চলছে। আর তা শেষ হওয়ার পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর।
উল্লেখ্য, আফস্পা চালু হয়েছিল ১৯৫৮ সালে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ এতে স্বাক্ষর করেছিলেন। এই আইনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে উপদ্রুত এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজার রাখতে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। আর এই আইনকে নিয়ে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির অভিযোগের শেষ নেই। তবে নাগাল্যান্ডের ঘটনার পর প্রবল চাপের মুখে বিজেপি সরকার।এই অবস্থায় ক্রমশ চাপ বাড়ছে সরকারের উপরে। ঘরে-বাইরে চাপ আসছে।
যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আফস্পা প্রত্যাহারে খুব একটা আগ্রহী না হলেও সামনের বছরে মনিপুরের বিধানসভা নির্বাচন তাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।
কেননা নাগাল্যান্ডের ঘটনায় পড়শি মনিপুরেও সেই ঘটনার প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আফস্পার পর্যালোচনা নিয়ে কমিটি গঠন করার পর অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য সবদিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ।