‘পেথাই’য়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকা, জরুরি পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর
অন্ধ্র-উপকূলের কাঁকিনাড়া, বিশাখাপত্তনমে পেথাই আছড়ে পড়ার পর ভেঙে পড়েছে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি। বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন। প্রবল ঝড়-বৃষ্টি চলছে। বহু ফসল নষ্ট হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় 'পেথাই'-এর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেল অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকা। উপকূলবর্তী ন-টি জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্ধ্র-উপকূলের কাঁকিনাড়া, বিশাখাপত্তনমে পেথাই আছড়ে পড়ার পর ভেঙে পড়েছে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি। বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন। প্রবল ঝড়-বৃষ্টি চলছে। বহু ফসল নষ্ট হয়েছে। তবে অন্ধ্রপ্রদেশ প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এতবড় প্রাকৃতিক দুর্যোগে তেমন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। এটা রাজ্য প্রশাসনের বড় সাফল্য।
|
পেথাইয়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত অন্ধ্রপ্রদেশ
সাইক্লোন অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে এলাকার। মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে আধিকারিকরা জানান, ১৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রায় ৩০০টি গবাদি পশু মারা গিয়েছে। তালারেভুতে সর্বোচ্চ ১৬০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ৩৭৯টি বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ১৪৬টি খুঁটি পড়ে গিয়েছে। ২৬ হাজার মেট্রিক টন কৃষি উৎপাদিত শস্যের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
|
জরুরি পর্যালোচনা বৈঠক চন্দ্রবাবু নাইডুর
পেথাই আছড়ে পড়ার পর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠকে সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক হয়। তিনি বলেন, সাইক্লোন-বিধ্বস্ত এলাকায় অবিলম্বে ত্রাণ বিলি করতে হবে। সবাইকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন চন্দ্রবাবু। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তৈরি করতে বলেন আধিকারিকদের।
|
উদ্ধারকার্যে নামল উপকূলরক্ষী বাহিনী
সাইক্লোন পেথাই আছড়ে পড়ার আগেই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশে। সাইক্লোন আছড়ে পড়ার পর রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ মতো উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন উপকূলরক্ষী বাহিনী। সতর্কতামূলক সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়াই ছিল। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া মানুষজনদের। অন্ধ্রপ্রদেশের ন'টি জেলায় জারি হয়েছিল হাই অ্যালার্ট। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে চালানো হয়েছিল মাইকিং। সাইক্লোন রেসকিউ সেন্টার থেকে সমস্ত ব্যবস্থা করই ঝাঁপিয়ে পড়েন সেনারা।
গাজার পর হানা পেথাইয়ের
মাস খানেক আগেই ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় গাজা। এবার পেথাইেয়রও অভিমুখ ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে। তাই আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছিল রাজ্য প্রশাসন। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে উপকূলে প্রচার চালানো হচ্ছিল। পেথাই আছড়ে পড়ার আগেই ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়া হাওয়া বইছিল। পেথাই প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে। অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার পর তা ওড়িশার দিকে ঘুরে যায়। বেশ খানিক দুর্বল হয়ে পড়ে।