এবার রাজ্যের চায়ের আলাদা পরিচিতি! লোগো প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে
ত্রিপুরার চায়ের সরকারি লোগো প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এর ফলে বাজারে ত্রিপুরার চা বড় সুযোগ তৈরি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
ত্রিপুরার চায়ের সরকারি লোগো প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এর ফলে বাজারে ত্রিপুরার চা বড় সুযোগ তৈরি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরার চায়ের লোগো তৈরি করেছেন শিল্পী তথা ডিজাইনার অপরেশ পাল। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের অনুমোদন পেতে টি বোর্ডও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।
দুর্ভাগ্য ঘুচল
আগরতলায় অনুষ্ঠানে বিপ্লব দেব বলেন, নাম আর লোগো ছাড়া কোনও জিনিসকেই চিহ্নিত করা যায় না। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের যে, এতদিনেও ত্রিপুরার চায়ের কোনও লোগো ছিল না। এবার ত্রিপুরার সরকারই এর ব্যবস্থা করেছে। ত্রিপুরার চাকে তুলে ধরতে অনেকদূর যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রায় একশোবছর আগে ১৯১৬ সালে ত্রিপুরায় চা শিল্পের শুরু উনকোটি জেলার হীরাচেরা টি এস্টেটে।
|
রাজ্যে ৫৮ টি বাগান
বর্তমানে
ত্রিপুরায়
৫৮
টি
চা
বাগান
রয়েছে।
যার
মধ্যে
৪২
টি
রয়েছে
ব্যক্তি
মালিকানাধীনে।
১৩
টি
চালানো
হয়
সমবায়ভিত্তিতে।
আর
তিনটি
চলে
ত্রিপুরা
টি
ডেভেলপমেন্ট
কর্পোরেশনের
অধীনে।
এছাড়াও
রাজ্যে
প্রায়
৩
হাজার
ছোট
চা
চাষী
রয়েছেন।
যাঁরা
সরকারের
সাহায্য
নিয়ে
ছোট
ছোট
বাগান
চালান।
ত্রিপুরা
সরকারের
হিসেব
অনুযায়ী
রাজ্যের
প্রায়
৬৮৮৫
হেক্টর
জমিতে
চা
চাষ
করা
হয়।
বাৎসরিক
প্রায়
৩.৫৮
কোটি
কেজি
চা
উৎপন্ন
হয়
রাজ্যে।
সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গল নিলাম কেন্দ্রে যাতে ত্রিপুরার চা নিলাম করা যায়, তার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
|
চায়ের নিলাম ও বিক্রি
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে চা-এর নিলাম এবং বিক্রির পুরোটাই হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশে ত্রিপুরার চায়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কেননা সেখানে রাখা কিংবা সরবরাহের ব্যবস্থা ভাল। সেখানকার বড় বাজার ত্রিপুরাকেও সাহায্য করছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু এবং বিদেশমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দাবি, উৎকৃষ্টমানের।
এর আগে টিটিডিসির তরফে তাদের হাতে থাকা তিনটি বাগান থেকে উৎপন্ন চায়ের ব্যান্ড ঠিক করা হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল ত্রিপুরেশ্বরী টি। যদি বর্তমানে লোগো চালু হওয়ার পর তা রাজ্যের ৫৮ টি বাগানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। জানিয়েছেন, টিটিডিসির চেয়ারপার্সন সন্তোষ সাহা।