স্টারলাইট কারখানা বন্ধে কাজ হারাবেন ৩০ হাজার! জেনে নিন দেশের অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে
স্টারলাইট কপারের সিইও-র দাবি, তুতিকোরিনের প্ল্যান্ট বন্ধ হওয়ায় ৩০ হাজার মানুষ কাজ হারাবেন, এবং ভারতবর্ষের বার্ষিক আমদানির বিল আনুমানিক ২ বিলিয়ন ডলার বাড়বে।
তুতিকোরিনের কপার কারখানাটি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। এতে শুধু তুতিকোরিন বা তামিলনাড়ুরই নয় প্রভাবিত হবে গোটা দেশের অর্থনীতি। এমনটাই দাবি করলেন স্টারলাইট কপারের সিইও পি রামনাথ। তিনি জানান, এতে যেমন একদিকে প্রত্যক্ষে ও পরোক্ষে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ কাজ হারাবেন, তেমনই ভারতের বার্যিক আমদানী বিলও আনুমানিক ২ বিলিয়ন ডলার বেড়ে যাবে।
এক সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাতকারে রামনাথ বলেন, তামিলনাড়ু সরকার হঠাত করেই তুতিকোরিনে আমাদের কপার স্মেলটারটি বন্ধ করার আদেশ জারি করেছে। এতে প্রত্যক্ষে এবং পরোক্ষে ৩০ হাজার মানুষ কাজ হারাবেন। সেইসঙ্গে একটা বড় অংশের ছোট ও মাঝারি উদ্যোগপতীরা,যাঁরা তামার জোগানের জন্য আমাদের স্মেলটারের এপর নির্ভর করতেন, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বেদান্ত স্টারলাইট দেশের অন্যতম প্রধান তামা উৎপাদক। ফলে ইলেকট্রিকাল থেকে প্রতিরক্ষা, ম্যানুফাকচার শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। তাদের এবার বাইরের দেশ থেকে তামা আমদানী করতে হবে। ফলে দেশের বার্ষিক আমদানী বিল আনুমানিক ২ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সোমবার বিকেলেই তামিলনাড়ু সরকার তুতিকোরিনের কপার স্মেল্টার প্ল্যান্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে দুপাতার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এরপর কারখানাটি সিল করে দেওয়া হয়।মঙ্গলবার আবার স্টেট ইন্ডাস্ট্রিজ প্রোমোশন কর্পোরেশন অব তামিলনাড়ু (এসআইপিসিওটি) সেই কারখানা এলাকা বাড়ানোর জন্য অনুমোদিত জমি ফিরিয়ে নিয়েছে। বেদান্ত সংস্থাকে পাঠানো চিঠিতে, এসআইপিসিওটি জানিয়েছে ব্যাপক দূষণের অভিযোগে কারখানাটির সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে জনসাধারণ প্রবল বিক্ষোভ এবং প্রথম স্মেল্টার প্ল্যান্টটির সৃষ্ট দূষণের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি সংস্থাটি বলেছে, ৩৪২.২২ একর জমির জন্য বেদান্ত যে অর্থ জমা দিয়েছিল তা তাদের নিয়ম অনুযায়ী ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
তুতিকোরিনের কপার স্মেল্টার প্ল্যান্টটিতে একটি কাস্টম স্মেল্টার, রিফাইনারি, ফসফোরিক অ্যাসিড প্ল্যান্ট, সালফিউরিক অ্যাসিড প্ল্যান্ট এবং একটি কপার রড প্ল্যান্ট ছিল। তবে প্ল্যান্টটির বিরুদ্ধে দুষণ ছড়ানোর অভিযোগে দার্ঘদিন ধরে আশপাশের এলাকার মানুষ আন্দোলন করছিলেন। গত ২২ মে পুলিশের গুলিতে মোট ১৩ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যুর পর এনিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। তারপরই কারখানা বন্ধের আদেশ পাস হয়।