অরুণাচল সীমান্ত ঘেঁষে প্রত্যন্ত এলাকায় চিনের নয়া প্রজেক্ট শুরু , কী ঘটে যাচ্ছে তিব্বতের বুকে
বৃহস্পতিবারই নয়া দিল্লি সাফ জানিয়েছে যে , গত বছর লাদাখ সীমান্তে চাঞ্চল্য তৈরির নেপথ্য কারিগর চিন। সীমান্ত জুড়ে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করে চিন কার্যত ইন্দো-চিন দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা ভঙ্গ করেছিল বলেও মন্তব্য করে ভারত। এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া তিব্বতের বুক শুরু হয়েছে চিনের নয়া কর্মকাণ্ড।
তিব্বতে চিনা ফৌজের মহড়া!
রেকর্ড বেঙে দিয়ে সমুদ্র তল থেকে উঁচু এলাকায় ড্রিল শুরু করেছে চিন। দেখা যাচ্ছে সাম্প্রতিককালে তিব্বতের বুকে এমন কর্মকাণ্ড শুরু করেছে তারা। জানা গিয়েছে ১০০ টি ট্যাকটিক্যাল মহড়া ইতিমধ্যেই উঁচু পাহাড়ি এলাকায় সেরে ফেলেছে চিনের লালফৌজ। যে বিষয়টির দিকে নজর রাখছে দিল্লি।
অরুণাচলপ্রদেশ ঘেঁষে নয়া প্রজেক্ট
তিব্বতের লাসা নিংচি সেকশনে ৪৩৫.৫ কিলোমিটার পথে এবার বুলেট ট্রেন আনল চিন। তিব্বতের এই প্রত্যন্ত এলাকায় এমন বুলেট ট্রেনের প্রজেক্ট এবার পূর্ণতা পেল। এই প্রজেক্টের উদ্বোধন হতে চলেছে ১ জুলাই। যেদিন চিনের কমিউনিস্ট পার্টি একশো বছর সম্পূর্ণ করতে চলেছে। সেই উপলক্ষ্যেই এই কর্মকাণ্ড।
অরুণাচল ঘেঁষে প্রযুক্তি উন্নত করছে চিন
শুক্রবার তিব্বতে প্রথম ইলেক্ট্রিক চালিত ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়। অরুণাচল প্রদেশ লাগোয়া এই এলাকায় তিব্বতে প্রবলভাবে প্রযুক্তির জাল বাড়িয়ে যাচ্ছে চিন। যে চিন কখনওই অরুণাতচলকে ভারতের অংশ বলে মানতে রাজি হয়নি। আর সেই জায়গা থেকেই সীমান্ত এলাকার প্রত্যন্ত বসতির মাঝে চিনের এই প্রযুক্তি ও সংযোগের বিস্তারে ফোকাসে রাখছে দিল্লি।
জিনপিংয়ের নির্দেশ
এর আগে গত নভেম্বর মাসেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নির্দেশ দেন যে , চিন যেন এই রেলওয়ে নির্মাণে সত্ত্বর ব্যবস্থা নেয়। এই রেলওয়ে র নির্মাণে তাদের সীমান্ত সুরক্ষা জড়িয়ে রয়েছে বলেও দাবি বহু বিশেষজ্ঞের। সেই জায়গা থেকে এই রেলপথ দুই দেশের কূটনীতির মাঝে পড়ে বেশ তাৎপর্য বহন করছে।