গ্রীষ্মে হাফ সেঞ্চুরি, শীতে শূন্যের নিচে, রাজস্থানের এই অঞ্চলের জলবায়ু অবাক করার মতো
গ্রীষ্মে হাফ সেঞ্চুরি, শীতে শূন্যের নিচে, রাজস্থানের এই অঞ্চলের জলবায়ু অবাক করার মতো
আসমুদ্রহিমাচলে এমন শত শত রহস্য আছে যার ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি। ভারতের বাসিন্দা এদেশের বহু রহস্যের হদিস আমাদের কাছেও নেই। তেমনই এক রাজ্য রাজারভূমি রাজস্থান। রাজপুতানার দেশে ঐতিহাসিক, পৌরাণিক, বৈজ্ঞানিক বহু জিনিস এমন রয়েছে যা আজও সবারকাছে বিস্ময়। তেমনই বিস্ময়কর হল এই রাজ্যের আবহাওয়া। একদিকে আরাবল্লি পর্বত আবার অন্যদিকে থর মরুভূমি, বরাবরই এই রাজ্য পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। তবে এমন কোন শহর আছে যেখানে গরমে তাপমাত্রা হয় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আবার শীতে পারদ নামে ০ ডিগ্রিতে?
সবচেয়ে চরমভাবাপন্ন শহর
মুকুলের সোনার কেল্লার দেশে জলবায়ু বরই বিচিত্র। রাজস্থানের চুরু শহর এমনই একটি উদাহরণ। গ্রীষ্ম এবং শীতকালে তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙে যায়। এখানে গ্রীষ্ম এলে পারদ ৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছায় আর শীত এলেই পারদ নেমে যায় ০ ডিগ্রিতে।
চরম জলবায়ুর কারণ কী?
চুরুতে এমন চরম জলবায়ুর জন্য এখানকার ভৌগোলিক অবস্থাকে দায়ী করা হয়। চুরু রাজস্থানের থর মরুভূমি অঞ্চলের পূর্বদিকে অবস্থিত। তাই পশ্চিম দিক থেকে আসা বাতাসের সঙ্গে বালি ও মাটির কণা প্রচুর পরিমাণে এসে জমাট বাঁধে। এই কণাগুলিতে, মাটি এবং বালি একে অপরের সাথে খুব বেশি সংযুক্ত থাকে, যা সূর্যের রশ্মিকে ঠিকমত মাটিতে পৌঁছাতে দেয় না। তাই মাটি ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
বাতাসে ঠাণ্ডা হয় পরিবেশ
এ ছাড়া এখানকার বাতাস ও মাটিও এই চরম জলবায়ুর জন্য দায়ী। উত্তর ভারতের শীতল বাতাসে উচ্চ শুষ্কতা এবং তাপ শোষণ করার জন্য মাটির কম ক্ষমতার কারণে চুরুকে শীতলতম স্থান করে। অ্যান্টি-সাইক্লোনিক সঞ্চালন, পরিষ্কার আবহাওয়া এবং গ্রীষ্মকালে পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত শুষ্ক বাতাস চুরুকে অত্যন্ত গরম করে তোলে। এমনকি মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডার জন্য বরফও পরে এখানে।