উন্নত দেশগুলির কারণে ক্ষতি হয়েছে জলবায়ু, ক্ষতিপূরণ চাইছে ভারত
উন্নত দেশগুলির কারণে ক্ষতি হয়েছে জলবায়ু, ক্ষতিপূরণ চাইছে ভারত
জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট ক্ষতির জন্য অর্থ ক্ষতিপূরণ চাইতে চলেছে ভারত৷ দেশের পরিবেশ মন্ত্রক বলেছে যে আগামী সপ্তাহগুলিতে জাতিসংঘের কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলনে আলোচনা করা হবে এ নিয়ে।
দেশের পরিবেশমন্ত্রকের আধিকারিক রামেশ্বর প্রসাদ গুপ্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সম্প্রতিনপরিবেশগত যে ক্ষতিগুলি হয়েছে তার জন্য ক্ষতিপূরণ থাকা উচিত এবং উন্নত দেশগুলির উচিৎ এটি বহন করা। তিনি আরও যোগ করেন, ভারত এই বিষয়ে অন্যান্য নিম্ন-আয়ের এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে নেতারা এবং কূটনীতিকরা স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে বার্ষিক সিওপি২৬ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য জড়ো হতে চলেছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবগুলি বন্ধ করার জন্য একটি চুড়ান্ত মিটিং হিসাবে দেখা হচ্ছে। জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য ক্ষতিপূরণ আলোচনায় একটি প্রধান বিষয় হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। গুপ্তের মতে, ভারত ইতিমধ্যেই মার্কিন জলবায়ু দূত জন কেরির কাছে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছে। ধনী দেশগুলি গ্রীনহাউস গ্যাসের সবচেয়ে বড় অংশ পরিবেশে যোগ করেছে যা প্রতিদিন পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
২০১৫ প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে 'ক্ষতি এবং ধ্বংস' শব্দদুটি ছিল৷ কিন্তু পরিবেশের ক্ষতি রুখতে না পারলে তার দায়বদ্ধতা এবং প্রতিকার সম্পর্কে প্রশ্নগুলির কোনও সঠিক উত্তর ছিল না। এর আগে ওয়ারশতে পূর্ববর্তী শীর্ষ সম্মেলনে (২০১৩ সালে) এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল, কিন্তু ঐ এই ধরনের অর্থ কিভাবে কাদের দেওয়া হবে তার কোনও সঠিক পদ্ধতি এখনও বের করা হয়নি। বিস্তৃত ধারণা হল, বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাসের উৎপাদনের অবদানের উপর ভিত্তি করে, দেশগুলি দূষণে পরিবেশগত ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে। যে দেশগুলি জলবায়ুর প্রভাবের শিকার হয় তারা জলবায়ু-জ্বালানিযুক্ত হারিকেন বা বন্যার পরে মেরামত ও ত্রানকার্যের জন্য অর্থ দাবি করতে পারে। কিন্তু সব দুর্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয় না। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা উষ্ণায়ন আবহাওয়া পরিবর্তনে কতটা অবদান রেখেছে তা খুঁজে বের করার জন্য গবেষণা শুরু করেছে।
ভারত আজ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ক্ষতিকারক নির্গমনকারী দেশ। এই তালিকায় শীর্ষ দশটি নির্গমনকারীর মধ্যে একজন। যার অর্থ ভারতকেও ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান করতে হবে। সে ক্ষেত্রে পরিবেশগত ক্ষতির জন্য ভারতের পে-ইন মোটামুটি ৪ শতাংশ হতে পারে। তবে সংখঁয়াটা আরও অনেক বড়ও হতে পারে। গুপ্তা জানিয়েছেন, যদি তারা ভারতকে এই ক্ষতিপূরণদাতাদের এক হিসেবে চায় তাহলে সে নিয়ে আমাদের কোন অসুবিধে নেই৷
সেপ্টেম্বরে সাপ্তাহিক করোনা কেসের হ্রাস ২০ শতাংশ, অক্টোবরে ভারতের চিত্রটা ঠিক কেমন জেনে নিন
প্রতিবেশী চিনের নির্গমণ শূন্য করার জনঁয় ২০৬০ সালকে লক্ষ্য ধরেছে৷ ভারতও শূন্য নির্গমনের লক্ষ্য নিয়েছিল কিন্তু তারপর দেশ এই পিছিয়ে গিয়েছে। পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের জানিয়েছিলেন, গ্লাসগোর আগে সমস্ত দেশকে নেট-শূন্য লক্ষ্য ঘোষণা করার দরকার নেই।