এক মাস আগে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলে গণধর্ষণ, নৃশংস সেই অত্যাচারের কথা সামনে এল মঙ্গলবার
ছোটবেলা থেকে স্কুল নিয়ে কত কত সুন্দর কথাই না শেখানো হয়। আমাদের বাবা-মা-য়েরা এমন নানান ভালো কথা স্কুল নিয়ে বলতেন। যাতে স্কুলের প্রতি ভালোবাসাটা জন্মায়।
ছোটবেলা থেকে স্কুল নিয়ে কত কত সুন্দর কথাই না শেখানো হয়। আমাদের বাবা-মা-য়েরা এমন নানান ভালো কথা স্কুল নিয়ে বলতেন। যাতে স্কুলের প্রতি ভালোবাসাটা জন্মায়। যার ফলে, পরিবারের পরে যে কোনো পড়ুয়ার কাছে স্কুলই হল সেরা সুরক্ষিত স্থান। কিন্তু, এই ধারণা আর কত দিন ধরে রাখা যাবে তা সন্দেহ তৈরি হচ্ছে।
গত কয়েক বছরেই স্কুল চৌহদ্দি থেকে পড়ুয়াদের উপরে একাধিক যৌন নির্যাতনের কথা সামনে এসেছে। এমনকী, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘটে গিয়েছে খুনের ঘটনা। স্কুল চত্বরে যৌন নিগ্রহের ঘটনায় কলকাতাও পিছিয়ে নেই। গত এক বছরে এই শহরেও স্কুলে ছাত্রীদের উপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনা পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত হয়েছে। দেশজুড়ে বেড়ে চলা এই ট্রেন্ডে দেহরাদূনও যে পিছিয়ে নেই তা ফের একবার প্রমাণিত হল।
দেহরাদন থেকে এমন এক যৌনি নির্যাতনের খবর প্রকাশ্যে এসেছে তার নৃশংসতায় রোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার দেহরাদূনের একটি গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। যাতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তার স্কুলের মধ্যেই গণ-ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ এতে স্কুলের ৫ কর্মী জড়িত ছিল। এমনকী, গণধর্ষণে অভিযুক্ত করা হয়েছে ৪ ছাত্রকেও। এই ৯ জন ছাড়াও আর কেউ ওই দশম শ্রেণির ছাত্রীর গণধর্ষণে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জানিয়েছেন ১ মাস আগে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে স্কুল চত্বরেই। কিন্তু তখন কেউ জানতে পারেনি। সোমবারই বিষয়টি সামনে এসেছে। তারপর মঙ্গলবারই অভিযুক্ত ৫ স্কুল কর্মী এবং ৪ ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জানিয়েছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানলেও তা গোপন করে রেখেছিল। এর বেশি অবশ্য কোনও তথ্য তিনি জানাতে চাননি। অত্যন্ত কঠোরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। ছাত্রীটিকে মেডিক্যাল নজরদারিতেও রাখা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবে না, বলেও জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা। আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্কুলের পরিচয়ও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
এদিকে, উত্তর প্রদেশের গোণ্ডায় সোমবার রাতে আট বছরের এক বালিকাকে অপহরণ করা হয়। এরপর নির্জন এক স্থানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। রাতের ঘুমের ঘোরে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল। আপাতত লখনউ-এ বালিকার চিকিৎসা চলছে। ঘটনার পিছনে থাকা অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।