পরিবারের দুই ছেলের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে সংঘাত! কার পক্ষ নেবেন লালুপ্রসাদ?
লালু প্রসাদ যাদবের দুই ছেলে তেজস্বী ও তেজ প্রতাপের মধ্যে সমস্যা নতুন নয়। এবার ফের একবার সামনে এল সেই সংঘাত। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের ছাত্র পরিষদের প্রধানের পদ থেকে তেজ প্রতাপ ঘনিষ্ঠ এক নেতাকে সরিয়ে দিলেন তেজস্বী যাদব।
লালু প্রসাদ যাদবের দুই ছেলে তেজস্বী ও তেজ প্রতাপের মধ্যে সমস্যা নতুন নয়। এবার ফের একবার সামনে এল সেই সংঘাত। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের ছাত্র পরিষদের প্রধানের পদ থেকে তেজ প্রতাপ ঘনিষ্ঠ এক নেতাকে সরিয়ে দিলেন তেজস্বী যাদব।
সূত্রের খবর, বাবা লালু প্রসাদের অনুমতি নিয়েই এই পদক্ষেপ করেছেন ছোট ছেলে তেজস্বী। আকাশ যাদব নামে তেজ প্রতাপ ঘনিষ্ঠ ওই নেতাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুধু আকাশ যাদবকে সরিয়ে দেওয়াই নয়, এর আগে তেজ প্রতাপের এক প্রতিপক্ষকেও উস্কানি দিয়েছিল তেজস্বী। জানা যায়, আরজেডির বিহার ইউনিটের প্রধান জগদানন্দ সিং গত কয়েকদিন ধরে অফিসে যাননি। অভিযোগ, তেজ প্রতাপ নাকি তাঁকে বলেছিলেন যে তিনি হিটলারের মতো স্টাইলে দল চালাচ্ছেন।
এরপর ওই নেতার সঙ্গেও দেখা করেন তেজস্বী। জগদানন্দ সিং এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, দলের ছাত্র পরিষদের পদটি দীর্ঘদিন ধরে খালি পড়েছিল। সম্প্রতি গগন কুমারকে ওই পদের জন্যে মনোনীত করেছিলেন জগদানন্দ সিং। সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
এখানে তেজ প্রতাপের জায়গা জায়গাতে অন্য কাউকে বসানো হয়েছে বিষয়টি তেমন নয় বলেও দাবি করেছেন জগদানন্দ সিং। যদিও এই ঘটনা পরেই তেজপ্রতাপ বেশ কয়েক টি টুইট করেন।
সেখানে তিনি লেখেন, জগদানন্দ সিং সে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি দলের রীতিনীতির বাইরে। জানা যাচ্ছে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক কাজকর্ম চালানোয় মন দিয়েছেন লালু প্রসাদ যাদব। তেজ প্রতাপ ক্ষুব্ধ হবেন জেনেও তিনি নাকি তেজস্বীর এই কাজে কোনও বাধা দেননি।
কোনোদিনই দলের জন্য তেজ প্রতাপের ভাবমূর্তি খুব একটা ভালো ছিল না। দলকে বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে জ্যেষ্ঠ পুত্রের জন্য। সম্ভবত সেই জন্যই এ বার আর কড়া পদক্ষেপ করতে পিছপা হচ্ছেন না লালু। পরপর এই ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ তেজ প্রতাপ। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'বাইরের লোকের থেকে পরামর্শ নিতে নিতে দলের প্রধান ভুলে গিয়েছেন যে দলটা দলের সংবিধান অনুযায়ী চলে।'
তাঁর দাবি, কোনও নোটিস ছাড়া কোনও দলীয় পদ থেকে কাউকে সরানো যায় না। তিনি আরও লিখেছেন, 'যা হয়েছে সেটা দলের সংবিধান বিরোধী।' রাজনৈতিক মহলের দাবি, তেজস্বীর এই পরামর্শদাতা হলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় যাদব। এই প্রসঙ্গে তেজস্বী বলেছেন, তিনি ও তাঁর বাবা দলের যে কোনও সমস্যার সমাধান করবেন।
উল্লেখ্য, লালু প্রসাদের ঘরে ক্রমশ তৈরি হচ্ছে অশান্তির কালো মেঘ। তেজ প্রতাপ এবং তেজস্বী যাদবের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে সংঘাত। আর এই সংঘাতের কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল। উল্লেখ্য, খুব সামনেই দলের মধ্যে নির্বাচন।
দলের ইয়ম অনুসারে বয়সের কারণে দলের সুপ্রিমোর পদ থেকে সরে যেতে হবে লালুকে। শুধু দলের নীতি নয়, খারাপ স্বাস্থ্যের কারনে নাকি লালুপ্রসাদ নিজেই ওই পদ থেকে সরে যেতে চান। জানা যাচ্ছে, তেজস্বীকে দলের অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।