অবসরের আগেই আরও ৫ গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়! ব্যস্ততা তুঙ্গে প্রধান বিচারপতি গগৈ-এর
শনিবার দশকের পর দশক ধরে চলে আসা অযোধ্যা মামলার রায় শুনিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তবে ১৭ নবেম্বর তাঁর অবসর গ্রহণের আগে আরও পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দেবেন তিনি।
শনিবার দশকের পর দশক ধরে চলে আসা অযোধ্যা মামলার রায় শুনিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তবে ১৭ নবেম্বর তাঁর অবসর গ্রহণের আগে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দেবেন তিনি। অযোধ্যার আগে তাঁর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ রায়ের মধ্যে রয়েছে অসমের এনআরসি।
সবরিমালা রিভিউ কেস
গতবছরের ২৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ৪-১-এ জানিয়েছিল, কেরলের সবরিমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের অনুমতির কথা। যদিও এর পরেই প্রায় ৬৫ আবেদন জমা পড়েছিল সেই রায়ের বিরোধিতা করে। বর্তমান প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ সেই আবেদনগুলি গ্রহণ করে শুনানির ব্যবস্থা করেছিলেন।
রাফালে রিভিউ কেস
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে ( বাকি দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি এসকে কাউল এবং বিচারপতি কেএম জোসেফ) গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর রাফালে নিয়ে দেওয়া রায়ের রিভিউ পিটিশনের শুনানি করেন। যেখানে রাফালে নিয়ে চুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
রাহুল গান্ধীর অবমাননার মামলা
এবছরের এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস দিয়েছিল। চৌকিদার চোর হ্যায়, বক্তব্য নিয়ে এই অবমাননার নোটিস দেওয়া হয়। রাফালে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। অন্যদিকে বিজেপির তরফে মীনাক্ষী লেখি ফৌজদারি অবমাননার মামলা দায়ের করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে রাহুল গান্ধী তাঁর মন্তব্য ভুল ভাবে পরিবেশিত হওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন।
ফিনান্স অ্যাক্ট ২০১৭-র সাংবিধানিক বৈধতা
এবছরের এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্টে ফিনান্স অ্যাক্ট ২০১৭-র বৈধতা নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই শুনানিরও প্রধান হিসেবে ছিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তিনি কেন্দ্রকে নোটিস দিয়েছিলেন।
আরটিআই-এর অধীনে কি আসবে প্রধান বিচারপতির অফিস?
তথ্য জানার অধিকার আইনে কি আসতে পারে প্রধান বিচারপতির অফিস? সেই সংক্রান্ত মামলারও রায় দেবেন প্রধান বিচারপতি গগৈ। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টের অর্ডারে বলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রধান বিচারপতির অফিস তথ্য জানার অধিকার আইনের অধীনে রয়েছে। যদিও এর পরেই দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।