আগামিকালের মধ্যে বিবাদ মেটান, অযোধ্যা মামলায় নির্দেশ প্রধান বিচারপতি গগৈ-এর
অবসরক্ষণ ঘনিয়ে আসছে সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের। সেই কারণেই ১৮ অক্টোবরের মধ্যে অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ করতে বলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। তবে আজ তিনি জানান, আগামীকালই মামলার শেষ শুনানি।
অবসরক্ষণ ঘনিয়ে আসছে সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের। সেই কারণেই ১৮ অক্টোবরের মধ্যে অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ করতে বলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। তবে আজ তিনি জানান, আগামীকালই মামলার শেষ শুনানি। পাশাপাশি সব পক্ষকেই আগামীকালকের মধ্যে বিবাদ মেটাতে বলেন তিনি। আজ মামলার শুনানির ৩৯তম দিনে প্রধান বিচারপতি বলেন, "আগামীকাল এই মামলার শুনানির ৪০তম দিন। এবং এটি এই মামলার শুনানির শেষ দিন হবে।"
২০১০ সালের এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অযোধ্যা সংক্রান্ত ১৪টি মামলার আবেদনের যৌথ শুনানি চলছে শীর্ষ আদালতে। এদিকে এই মামলা শুরু হতেই প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, তাঁর অবসরের আগে এই মামলার নিস্পত্তি করে যাবেন তিনি। এদিকে আগামী মাসের ১৭ তারিখ প্রধান বিচারপতি হিসাবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের। বিশেষজ্ঞদের মত, আগামীকাল শুনানির শেষ দিন ধার্য হলেও একমাসের মধ্যে কারণ শুনানি শেষ হলেও অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে রায়দান করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বিচার বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের হাতে আর সেসময় নেই। কারণ রায়দানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সাম্প্রদায়িক বিষয়। কোনওভাবেই রায়দান করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। রায়দানের পরবর্তী অবস্থা কী হতে পারে সেটাও বিবেচনা করতে হবে বিচারপতিদের।
এদিকে আজ শুনানি চলাকালীন হিন্দু পক্ষের মহন্ত সুরেশ দাসের আইনজীবী কে পরাসরন বিচারপতিদেরকে বাবরি মসজিদ তৈরির 'ঐতিহাসিক ভুল'-কে সুধরানোর আবেদন জানান। পরাসরন বলেন, "একজন বিদেশি ভারতে এসে বলতে পারে না যে আমি বাবর, আমি আইন। ইতিহাসে এরকম কোনও ঘটনা নেই যেখানে কোনও হিন্দু রাজা বিদেশে গিয়ে জবরদখল করেছে। আমার মনে হয় এই মামলার প্রেক্ষিতে এই দিকটার উপর নজর দেওয়া উচিৎ। মুসলিমদের জন্য বাবরি সমজিদ একটি ঐতিহাসিক স্থান। তবে হিন্দুদের কাছে এই স্থানটি রাম জন্মভূমি। আমরা বিগত কয়েক শতক ধরে এই জমি ফিরে পেতে লড়াই চালাচ্ছি।"
অবশ্য সব পক্ষের বহু সওয়াল জবাবের পরও অযোধ্যায় ২.৭৭ একর জমিতে রাম মন্দির তৈরি হবে না বাবরি মসজিদ তৈরি হবে এই নিয়ে চরম সংশয় তৈরি হয়েছে।