প্রধান বিচারপতিও আরটিআই আইনের আওতায়, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের
প্রধান বিচারপতিও আরটিআই বা তথ্যর অধিকার আইনের আওতায় পড়বেন। বুধবার এমনই ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চই এই রায় শুনিয়েছে।
প্রধান বিচারপতিও আরটিআই বা তথ্যর অধিকার আইনের আওতায় পড়বেন। বুধবার এমনই ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চই এই রায় শুনিয়েছে।
তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় প্রধান বিচারপতিও
তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় পড়েন প্রধান বিচারপতিও। আজ এক সমাজকর্মীর করা মামলার প্রেক্ষিতে এমনই রায় দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। যদিও এর আগে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ দাবি করেছিলেন স্বচ্ছতা বজায় রাখতে গিয়ে বিচার ব্যবস্থার গোপনীয়তাকে প্রকাশ্যে আনা সমর্থন যোগ্য নয়। তাই প্রথম থেকেই এই রায় কী হবে এই নিয়ে আগ্রহ বাড়ছিল। বিশেষ করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চেই শুনানি ঘিরে আরও উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। কিন্তু অবশেষে দিল্লি হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত।
দিল্লি হাইকোর্টের রায়
২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি এই মামলার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই রায়ে বলা হয়েছিল প্রধান বিচারপতিও আরটিআইনের আওতার মধ্যে পড়েন। কারণ বিচারের স্বাধীনতা বিচারকের ব্যক্তিগত নয়। তাঁর উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। সেই ৮৮ পাতার রায়ে প্রধান বিচাপতি কেজি বালাকৃষ্ণণ নিজেরও ক্ষতি স্বীকার করেছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টের তিন বিচাপপতির বেঞ্চে হয়েছিল রায়দান।
আরও স্বচ্ছতা আসবে বিচারে
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বিচার প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ রায় দানের সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, স্বাধীনতা এবং দায়িত্ববোধ এবার হাতে হাত রেখে চলবে। এবার রায় দেওয়ার সময় প্রধান বিচারপতি দুটির ভারসাম্য রাখছেন কিনা সেটা খেয়াল রাখবেন। রায় দানের সঙ্গে সঙ্গে সেটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয়।