লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অমিত শাহের! উত্তর পূর্বে বনধের ডাক
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে বিরুদ্ধে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে চলছে বিরোধিতা। তারই মধ্যে সোমবার সংসদে বিল করতে চলেছেন অমিত শাহ।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে বিরুদ্ধে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে চলছে বিরোধিতা। তারই মধ্যে সোমবার সংসদে বিল করতে চলেছেন অমিত শাহ। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির বাসিন্দাদের দাবি অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্য কয়েক দশকের পুরনো চুক্তি বাতিল করার পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। এর প্রতিবাদের বনধের ডাকও দেওয়া হয়েছে।
বিল পেশ করবেন অমিত শাহ
অমিত শাহ এই বিল পেশ করবেন সোমবার বিকেলে। ছয় দশকের পুরনো নাগরিকত্ব আইন সংশোধন হবে এই বিল পাশ হলে। সংসদে বিল পেশের পর তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই বিল সংসদে পাশ হয়ে গেলে প্রতিবেশী পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব পেতে সুবিধা হবে।
প্রতিবাদে বনধের ডাক
এদিকে এই বিলের বিরুদ্ধে সরব উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি। প্রভাবশালী নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন ১০ ডিসেম্বর ১১ ঘন্টার বনধের ডাক দিয়েছে। তারা মনে করছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হলে ১৯৮৫-র অসম চুক্তির অস্তিত্ব থাকবে না। কেননা অসম চুক্তিতে বলা হয়েছিল ১৯৭১-এর ২৪ মার্চের আগে সেখানে যাওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
বিলে কেন্দ্রের প্রস্তাব
উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিকে শান্ত করতে বিলে কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যেসব রাজ্যে ইনার লাইন পারমিট চালু রয়েছে এবং ষষ্ঠ তফশিলের আওতায় রয়েছে, সেখানে এই বিল কার্যকর হবে না।
নতুন বিলে প্রস্তাব
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছিল ১১ বছর এই দেশে থাকতে হবে। তবেই নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে। সংসদে যে বিল পেশ হতে চলেছে, তাতে ১১ বছরের সময়সীমা ৫ বছরে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। তবে তা শুধুমাত্র অমুসলিম আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
বৈষম্যমূলক, বলছেন বেশিরভাগ বিরোধী
বিরোধীদের মধ্যে বেশিরভাগই এই বিলের বিরোধিতা করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বিলটিকে বৈষম্যমূলক বলে বর্ণনা করেছেন। তাদের মতে যদি সব সম্প্রদায়কে বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাহলেই তারা তা গ্রহণ করবেন।
এর আগেই নরেন্দ্র মোদী সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সংসদে পেশ করেছিল। তা লোকসভায় পাশ হয়ে গেলেও, রাজ্যসভায় পাশ করানো যায়নি।