নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে মার্কিন আদালতে পাসপোর্টের কপি দিতে নারাজ সোনিয়া
প্রসঙ্গত, শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের তরফে একটি মামলা করা হয় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর শিখ নিরাপত্তারক্ষী দ্বারা হত্যার পর একদল শিখদের উপর আক্রমণ চালায়। সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে ওই সংগঠন আর্থিক ও শাস্তমূলক ক্ষতিপূরণ দাবী করেন। তাদের অভিযোগ ছিল,কংগ্রেসের কমল নাথ, সজ্জন কুমার,জগদীশ তিতলার ওই দাঙ্গার পিছনে ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও সোনিয়া গান্ধী তাদের রক্ষা করছেন। ১৯৮৪ সালে এই শিখ বিরোধী দাঙ্গা সম্পর্কিত মানবাধিকার আইন ভঙ্গের মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে না থাকার কারণে শমনের উত্তর দিতে পারেননি বলে একটি আর্জি নিউ ইয়র্কের ব্রুকলুন আদালতে করেন সোনিয়া।
শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের তরফে যে মামলা করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান কেটারিং ক্যান্সার সেন্টার-এ চিকিৎসার জন্য উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও সোনিয়া গান্ধী জানিয়েছিলেন ওই সময়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন না, তাই শমনের উত্তর দিতে পারেননি।
'পাসপোর্টের কপিতে সত্য প্রমাণ হবে বলেই তা মার্কিন আদালতের হাতে দিচ্ছেননা সোনিয়া'
২০১৩ সালের ২ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর তিনি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন না তার প্রমাণস্বরূপ এই পাসপোর্টের কপি চেয়েছিল ব্রুকলিন আদালত। আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, শুধু কংগ্রেস সভানেত্রীর মুখের কথায় হবে না প্রমাণ দেখাতে হবে। তার জন্য পাসপোর্টের সমস্ত নথিভুক্ত স্ট্যামগুলো যাচাই করে দেখা হবে, যার মাধ্যমে প্রমাণ হবে ওই নির্দিষ্ট সময়ে সোনিয়া গান্ধী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন কী ছিলেন না।
অথচ নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে সোনিয়া জানিয়ে দিয়েছেন পাসপোর্টের কপি তিনি দেবেন না। নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন আদালতে চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছেন,ভারত সরকার নিরাপত্তার কারণে তাঁকে পাসপোর্টের কপি জমা দেওয়ার অনুমতি দেননি। সেই কারণেই ৭ এপ্রিলের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তিনি কপি জমা দিতে পারবেন না।
কংগ্রেস সভানেত্রীর আইনজীবী জানিয়েছেন, এই ঘটনায় সোনিয়া গান্ধীর লুকানোর কিছু নেই। এবং তিনি এই মামলায় লড়তে চান। ইতিমধ্যেই মার্কিন আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি আর্জি দায়ের করেছেন সোনিয়া।
যদিও শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের দাবি, সোনিয়া গান্ধীর পাসপোর্টের কপি জমা না দেওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে যে ওই সময় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ছিলেন। পাসপোর্টের কপিতে তা প্রমাণ হয়ে যাবে বলেই তা মার্কিন আদালতের হাতে দিতে চাইছেন না কংগ্রেস সভানেত্রী।