২০১৯ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল: কেন আশঙ্কার চোরাস্রোত অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে! কী রয়েছে বিলে
এনআরসি-র পর ২০১৯ সালের শেষলগ্নে এসে এবার রাজনৈতিক তোলপাড় ফেলার অপেক্ষায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। ইতিমধ্যেই, সংসদে পেশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে এই বিল পেশ হয়েছে সংসদে। আর বিল পেশ হতেই উত্তপ্ত হতে থাকে সংসদ। এককাট্টা বিরোধীরা এই ইস্যুতে কার্যত সাঁড়াশি আক্রমণে রাখে বিজেপিকে। এদিকে, দিল্লিতে যখন সংসদে এই বিল ঘিরে উত্তেজনা চরমে, তখন অসম সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে রয়েছে চোরাস্রোত।

কেন আতঙ্কে অসম?
ইতিমধ্যেই উত্তর পূর্বের এই রাজ্য দেখেছে এনআরসির বীভৎসতা। আর তার জেরে রীতিমতো আতঙ্কে অসম। এদিকে, নাগরিকত্ব বিল ঘিরেও রয়েছে একই আতঙ্ক। অসমের আশঙ্কা, বিলের হাত ধরে সেখানের যে আইনি নিয়ম আসবে তাতে, সেখানের সমাজ ব্যবস্থা পাল্টে যেতে পারে। স্থানীয়দের জীবন জীবিকার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। ফলে 'বহিরাগত' তকমা ঘিরে রয়ে যাচ্ছে এখনও অসমের আশঙ্কা।

একযোগে বিরোধিতায় উত্তরপূর্ব ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি!
গোটা অসম জুড়ে ইতিমধ্যেই বনধের ডাক দিয়েছে বামপন্থী ১৬ টি সংগঠন। আর তার কেন্দ্রে রয়েছে এই বিলের বিরোধিতা। তাঁদের দাবি, যেহেতু ষষ্ঠ তফশিলের আওতায় থাকা একাধিক নিয়ম এই বিলের আওতা থেকে বাদ যাচ্ছে , তাতে সমস্যা হতে পারে উত্তরপূর্বের মানুষের। এই বিষয়টি নিয়ে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়ে অসমের অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, সঙ্গে রয়েছে অসম যুব ছাত্র পরিষদ।

কেন ক্ষোভ?
বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবৈধ বাংলাদেশীদের দ্বারা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিতে মাততে চাইছে বিজেপি। তাঁদের বকত্বয, 'অসম অ্যাকর্ড' অনুযায়ী যে নিয়ম রয়েছে তার বিরোধিতা করছে নাগরিকত্ব বিল। আর এভাবে ধরেমের ভিত্তিতে উদ্বাস্তু বিভেদের মাধ্যমে অবৌধ বাংলাদেশীদের অসমে থাকতে দেওয়ার ছাড়পত্র দিচ্ছে সরকার।

বহিরাগতদের অসমে 'ডাম্প' করা হচ্ছে!
অসম সহ উত্তরপূর্বের আশঙ্কা , এই বিলকে আইনে রূপান্তরিত করে অসম সহ উত্তরপূর্ব ভারতে বহিরাগতদের রেখে দেওয়া হবে। কারণ উত্তরপূর্বের একাধিক রাজ্য এই আইনের আওতার বহু নিয়মের বাইরে রয়েছে। আর সেই আতঙ্ককে সঙ্গে নিয়েই বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে অসমের ছাত্র সংগঠনগুলি।

কোন আশঙ্কার চোরাস্রোত?
'অসম অ্যাকর্ড ২৫ মার্চ ১৯৭১' সালের নিয়ম অনুযায়ী একাধিক বিষয় বর্ণিত রয়েছে উত্তরপূর্ব ভারতে নাগরিকত্বের জন্য। ফলে ফের একবার ১৯৭১ সলের উদ্বাস্তু সমস্যা এখানেও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। নতুন করে বহিরাগতরা উত্তপূর্বে আসলে, স্থানীয় মানুষের জীবন জীবিকা বিপন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা অসমের। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেখানের সংস্কৃতি সমাজব্যবস্থাও। এই দাবিতেই এদিন অসম জুড়ে তোলপাড় ফেলে দেয় ছাত্রসংগঠনগুলি।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হতেই একযোগে বিরোধিতা কংগ্রেস, তৃণমূলের; উত্তাল সংসদ