খ্রিস্টান মিশনারির দৌলতেই উন্নত হয়েছে তামিলনাড়ু, বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে তামিলনাড়ুর স্পিকার
Array
দেশে বিগত কয়েকবছরে ধর্ম নিয়ে বিতর্ক বেড়ে গিয়েছে। ২০২১ সাল থেকে এই ধরনের বিতর্কের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। একমাত্র অগ্নিপথ বিতর্ক ছাড়া সবগুলিই এই ধরণের বিতর্ক। নয়া সংযোজন তামিলনাড়ুর নয়া বিতর্ক। আর এই বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার।
তামিলনাড়ু বিধানসভার স্পিকার এম অ্যাপাভু। তিনি সোমবার নতুন বিতর্কের জন্ম দেন। তিনি মনে করেন যে যখন খ্রিস্টান মিশনারিগুলির জন্যই রাজ্যের উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন যে, ক্যাথলিক মিশনগুলির কাজ না করলে রাজ্যটি অন্য বিহার হয়ে উঠত।
তিনি দাবি করেন যে ক্যাথলিক মিশনারিরাই তার কর্মজীবনকে নতুন রূপ দিয়েছেন। তিনি এরই সঙ্গে যোগ করেছেন যে সরকারে এমন অনেক লোক রয়েছে যারা "রোজা রাখে এবং ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে" কিন্তু সরকারের এবং রাজ্যের উন্নয়নে হাত রয়েছে ক্যাথলিক মিশনারিদেরই।
তিনি বলেছেন "মুখ্যমন্ত্রী জানেন যে এই সরকার ক্যাথলিক মিশনারিদের সাহায্যেই তৈরি করা হয়েছে।" তাই তিনি মনে করেন ওই রাজ্যে ক্যাথলিক মিশনগুলির প্রভাব বাড়ুক। ক্যাথলিক মিশনারিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, "আপনারা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে পারেন এবং আমি আপনাকে সমর্থন করব। যদি আপনাদের কথা না শোনা হয় তবে তামিলনাড়ুর কোনও উন্নতি হবে না। যদি কোনও ধর্মপ্রচারক না থাকত, তাহলে তামিলনাড়ু বিহারের মতো হতো।"
তাঁর মতে ক্যাথলিক মিশনারিরা রাজ্যের শ্রীবৃদ্ধির প্রধান কারণ। তামিলনাড়ুর ভিত্তি আরও শক্ত হবে ক্যাথলিক মিশনারিদের মাধ্যমেই। বিতর্কের মধ্যে, স্পিকার অ্যাপাভু দাবি করেছেন যে তিনি শুধুমাত্র "ইতিহাস" উল্লেখ করেছেন। বিজেপির সমালোচনার জবাব দিতে অস্বীকার করে স্পিকার অ্যাপাভু বলেন"শুধুমাত্র খ্রিস্টান মিশনারিরাই সকলের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। খ্রিস্টান মিশনারিরা সামাজিক সমতা এনেছে। দ্রাবিড় আন্দোলন তাদের কাজের একটি সম্প্রসারণ," ।
সম্প্রতি হিন্দু এবং মুসলিম, এই দুই ধর্ম নিয়ে দেশে প্রচুর সমস্যা হয়েছে। কখনও প্রত্যেক মসজিদের তলায় মন্দির অথবা হিন্দু দেবদেবীর আরাধনা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে আবার কখনও আবার দেখা গিয়েছে যে মুসলিম পয়গম্বর নিয়ে মন্তব্যের জেরে দেশের প্রত্যেক কোনায় বিপুল সংঘর্ষের ছবি দেখা গিয়েছিল। পরে সেই বিতর্ক থামলে আবার যিনি ওই পয়গম্বর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তাকে সমর্থন করার জন্য প্রাণ যায় দু'জনের। একজন ছিলেন মহারাষ্ট্রের এক কেমিস্ট, অপরজন ছিলেন রাজস্থানের উদয়পুরের এক দর্জির। এসবের মাঝখানেই আরও এক বিতর্ক দেখা দিল দেশে যার কেন্দ্রে রয়েছে সেই ধর্ম।