'একজন 'যোদ্ধা'র মতোই এই যুদ্ধটাও ও ঠিক জিতে আসবে', বলছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংয়ের বাবা
ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান ভেঙে প্রয়াত ভারতের প্রথম সিডিএস বিপিন রাওয়াত। ঘটনায় মারা গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী সহ আরও ১২ জন। ঘটনার শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশ। তবে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং।
তামিলনাড়ুর কুন্নুরে হওয়া ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কোনও রকমে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে ব্যাঙ্গালুরুর সেনা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বরুণের। সবরকম ভাবে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন সেনা ডাক্তাররা।

শারীরিক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক
ভারতীয় বায়ুসেনার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গ্রুপ ক্যাপ্টেনের শারীরিক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক রয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলেই জানাচ্ছেন ওই আধিকারিকরা। সুত্রের খবর, ব্যাঙ্গালুরুর সেনা হাসপাতালে ভারতীয় বায়ুসেনার এই জাবাজ অফিসারকে সবসময়েই নজরে রেখেছেন। সবরকম ভাবে চেষ্টা করছেন তাঁকে সুস্থ করে তোলার। ইতিমধ্যে সেনার উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরাও ভারুন সিংয়ের খোঁজ রাখছেন।

সেনা পরিবারে বেড়ে ওঠা
সেনা পরিবারে বেড়ে ওঠা ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন ভারুন সিংয়ের। তাঁর বাবা একজন ভারতীয় সেনার কর্নেল ছিলেন। যদিও এখনও অবসরে রয়েছে। কিন্তু ছোট থেকে লড়াইটা ভারুন জানেন। আর তাই হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই সুস্থ হয়ে ওঠার লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ভারুন সিংয়ের বাবা কর্নেল কে পি সিং ( অবসরপ্রাপ্ত) জানিয়েছেন, ছেলের শারীরিক অবস্থা প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছেন। কখনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে আবার কখনও মনে হচ্ছে সব যেন শেষ। কিন্তু তিনি ভারুন একজন যোদ্ধা! আর আমার বিশ্বাস এই লড়াইটা একজন যোদ্ধা হিসাবেই জিতে আসবে সে। বলছেব অবসরপ্রাপ্ত ওই সেনা আধিকারিক।

পাশে রয়েছে দেশ।
শুধু ভারুন নয়, এই মুহূর্তে গোটা পরিবার তাঁর সঙ্গে লড়াই করছে। পাশে রয়েছে দেশ। তাঁর বাবার মতোই দেশের মানুষ চায়, একজন যোদ্ধা হিসাবেই গ্রুপ ক্যাপ্টেন ভারুন সিং কঠিন লড়াইট জিতে আসুক। গত কয়েকদিন আগেই রাজনাথ সিং তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় একমাত্র বেঁচে আছেন ভারতীয় সেনা গ্রুপ ক্যাপ্টেন ভারুন সিং। তাঁকে সুস্থ করে তুলতে আপ্রান চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৮ তারিখ ডিফেন্স কলেজে যাওয়ার সময়ে জঙ্গলের উপর ভেঙে পড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার Mi-17V5 হেলিকপ্টার। যেটিকে কিনা সবথেকে সুরক্ষিত কপ্টার হিসাবে মানা হয়। এই ঘটনায় সস্ত্রিক সিডিএস সহ একাধিক সেনা আধিকারিককে মৃত্যু হয়। কীভাবে এই ঘটনা তা জানতে ইতিমধ্যে ত্রিস্তরিয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।
