মাদ্রাসায় বন্দি করে যৌন অত্যাচার, পুলিশকে এই অভিনব পন্থায় খবর দেয় নাবালিকারা
মাদ্রাসায় বন্দি ওই নাবালিকারা নিজেদের দুঃখের কথা কাগজে লিখে, জানলা দিয়ে ফেলে দিত নিচের রাস্তায়।
মাদ্রাসায় চলত কাজির যৌন অত্যাচার। মাদ্রাসায় ৫১ জন নাবালিকাকে আটকে রেখে নিত্যদিন এই অত্যাচার চালাতেন কাজি। এমনই অভিযোগ নিয়ে মুক্তির পথ খুঁজছিল ও ৫১ জন নাবালিকা। কিন্তু বন্দিদশা থেকে মুক্তির রাস্তা কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিল না ওই নাবালিকারা। শেষে, নিজেদের বাঁচাতে নিজেরাই রাস্তা বার করে তারা।
মাদ্রাসায় বন্দি ওই নাবালিকারা নিজেদের দুঃখের কথা কাগজে লিখে, জানলা দিয়ে ফেলে দিত নিচের রাস্তায়। তাদের আশা ছিল কোনও পথ চলতি মানুষ যদি ওই কাগজ কুড়িয়ে একবার অন্তত তাদের সাহায্য়ার্থে এগিয়ে আসেন! আর তাদের এই পন্থাই কার্যকরী হয়েছে। মাদ্রাসার কীর্তিকাণ্ডের খবর যায় পুলিশের কাছে। মাদ্রায় রেড হয়, ও ওই ৫১ জন কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় জড়িতে থাকার সন্দেহে পুলিশ গ্রেফতার করে মাদ্রাসার ডিরেক্টর কাজি মহম্মদ তইব জিয়াকে।
এদিকে, পুলিশি রেডের সময়ে মাদ্রাসায় তোলপাড় পড়ে যায়। মাদ্রাসার ১২৫ জের মধ্যে ৫১ জন কিশোরীকে রেড-এর সময়ে উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের আপাতত নারী নিকেতনে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও ওই মাদ্রাসা সম্পর্কে আরও পুলিশি ,তদন্ত বাকি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।