ভোট মিটলেই বিজেপি-র হাত ধরছে এলজেপি? বিহার ভোটের প্রাক্কালে ফের বিতর্ক উষ্কে দিলেন চিরাগ
হাতে বাকী আর দু-সপ্তাহেরও কম সময়। কিন্তু তার আগেই দিন যত গড়াচ্ছে ততই চড়ছে বিহার নির্বাচনের পারদ। এদিকে শেষ মহূর্তের ভোট প্রচারে একবিন্দু জমি ছাড়তে রাজি নয় শাসক বিরোধী কোনও পক্ষই। এদিকে শাসক জোটে মনমালিন্যের জেরে ইতিমধ্যেই একলা চলো নীতি নিয়েছে এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসোয়ান। প্রশ্ন উঠেছে বিহারের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়েও। এতাবস্থায় বিজেপি সম্পর্কে খানিক সুর নরম করতে দেখা গেল চিরাগকে।


বিজেপির প্রতি ফের সুর নরম চিরাগের
এদিকে নীতীশের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে থাকলেও বিজেপির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই ধীরে চলো নীতি নিতে দেখা যায় লোক জনশক্তি পার্টিকে। যা নিয়ে শুরু হয় নতুন জল্পনা। অনেকই ভাতে থাকেন ঘোড়া ডিঙিয়ে খাস খাওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। যদিও এর মাঝেই ফের এনডিএ জোটে জেডিইউ-র কতৃর্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপি ছেড়ে এলজেপির টিকিটে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন ৯ বিজেপি নেতা। যদিও এদিন সংবাদ মাধ্যমের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে চিরাগ স্পষ্টতই জানান ভোট মিটে গেলে বিজেপির প্রতি তাদের সমর্থন আগের মতোই বহাল থাকবে।

সুশীল মোদীর কথায় ক্ষোভ প্রকাশ চিরাগের
যদিও সাম্প্রতিক কালে এলজেপি জট নিয়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর কথায় খানিক অসন্তোষ প্রকাশ করেন রামবিলাস পুত্র। কিছুদিন আগেই ভোট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এলজেপি প্রার্থীদের ভোট না দেওয়ার কথা বলেন মোদী। তার মতে তা না হলে ভোট কাটাকাটি হয়ে আখেড়ে ক্ষতি হবে বিজেপির। আর এই কথাতেই এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন চিরাগ।

বিহার ও বিহারিদের অগ্রাধিকারের মন্ত্রেই নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে চলেছে এলজেপি
একইসাথে আসন্ন ভোটে ‘সবার আগে বিহার, বিহারিদের অগ্রাধিকার' দেওয়ার মন্ত্রেই নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দনে নামতে চলেছে এলজেপি। পাশাপাশি সদ্য প্রয়াত রামবিলাসের অপূর্ণ ইচ্ছাকে সামনে রেখেই আগামী রাজনৈতিক কৌশলও ঠিক করবেন বলে জানান বিহার রাজনীতির ময়দানে বর্তমানে অন্যতম প্রধান মহারথী চিরাগ পাসোয়ান। একইসাথে রোজকার মতো সরকার পরিচালনা নিয়ে এদিনও নীতীশের বিরুদ্ধে রুটিন মাফিক তোপ দাগতে দেখা যায় চিরাগকে।

ভোটের পরেই বিজেপি-র হাত ধরছে এলজেপি? বিতর্ক উষ্কে দিলেন চিরাগ
যদিও এদিন ফের বিজেপির সঙ্গে ভোট পরবর্তী সময়ে এলজেপি-র জোট প্রসঙ্গেও একাধিক বিতর্ক উষ্কে দেন চিরাগ। একইসাথে বিজেপিকে সমর্থন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চিরাগকে বলতে শোনা যায়, "বিহার ভোট মিটে গেলে আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি আমাদের সমর্থন বহাল রাখব। আমি বিশ্বাস করি যে রাজ্যবাসী বিজেপি-এলজেপিকে একযোগে কাজ করতে দেখে খুশি হবে। একইসাথে ১০ই নভেম্বর বিজেপি-এলজেপি বিহারে সরকার গঠন করলে মানুষ তা স্বাগত জানাবে। "
কার্যালয় থেকে সরল দলীয় পতাকা,পিকের কাজ নিয়ে দলকে হুঁশিয়ারি! তৃণমূলের প্রভাবশালী বিধায়ককে নিয়ে জল্পনা