চিরাগ কাঁটায় বিদ্ধ নীতীশ! শিয়রে এলজেপি-জেডিইউ দ্বন্দ্ব, ভোট বৈতরণী পার করতে নতুন সেনানী ফড়নবিস
চিরাগ কাঁটায় বিদ্ধ নীতিশ! শিয়রে এলজেপি-জেডিইউ দ্বন্দ্ব, ভোট বৈতরণী পার করতে নতুন সেনানী ফড়নবিস
বেজে গিয়েছে বিহার ভোটের দামামা। করোনা আবহ ও বন্যার ভ্রুকটি মাথায় নিয়েই শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতিতে নেমেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিহারের এবারের লড়াইয়েও খাতায় কলমে বিরোধীদের থেকে কিছুটা এগিয়েই শুরু করছে এনডিএ শিবির। যদিও বর্তমানে শরিকি কোন্দল চিন্তা বাড়াচ্ছে নীতিশ কুমারের।
ভোট এগোতেই বাড়ছে আক্রমণের ঝাঁজ
সূত্রের খবর, প্রায় মাস চারেক ধরেই বিজেপির জোটসঙ্গী লোক জনশক্তি পার্টি নিয়মিত আক্রমণ করে চলেছে নীতীশ কুমারকে। ভোট যত এগিয়ে আসছে আক্রমণও তত তীব্রতর হতে দেখা গেছে। যার জেরে এখন বড়সড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে নীতিশের ষষ্ঠবারের মুখ্যমন্ত্রীত্ব। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের ছেলে চিরাগ পাসওয়ান রেছেন এখন লোক জনশক্তি পার্টির(এলজেপি) নেতৃত্বে রয়েছেন।
বিহার নির্বাচন জিততে মরিয়া বিজেপি
বিশেষ সূত্রে খবর, শনিবার চিরাগ পাসওয়ান দলীয় কর্মীদের একপ্রকার বলেই দিয়েছেন, আজ হোক বা কাল, তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গ ছাড়তে চলেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা এতেই আরও কঠিন হতে চলেছে জনতা দল ইউনাইটেডে আসন্ন নির্বাচনী লড়াই। এদিকে দিন যত গড়াচ্ছে বিহার ভোট জিততে মরিয়া হয়ে উঠছে বিজেপি। সূত্রের খবর, রাজ্যের বৃহত্তল দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিহার নির্বাচনে এনডিএ জোটের অংশ হিসাবে সমস্ত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তার সবকটিতেই জয় নিশ্চিত করতে চায় তারা।
আসন্ন ভোটে নীতিশকে সমর্থন প্রত্যাহার এলজেপি-র ?
এদিকে ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিক থেকে বন্যা ও করোনা করোনা সঙ্কটের মতো বিষয়েও নীতিশের প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে দেখা গেছে এলজেপি নেতা চিরাগ পাসওয়ানকে। একইসাথে কোভিড -১৯ মহামারী শেষ না হওয়া অবধি তিনি বিধানসভা নির্বাচন চান না বলেও সাফ জানিয়েছেন। বিপরীতে, নীতীশ কুমার চলতি বছরের শেষে যথাসময়ে নির্বাচন চাইছেন। এদিকে চিরাগকে দলীয় সভায় বলতে শোনা গিয়েছে,"নীতীশ কুমার লালুপ্রসাদের মতোই সাম্রাজ্য চালানোর চেষ্টা করছেন বিহারে। এলজেপি কর্মীরা বিহারের মানুষের ইস্যু নিয়ে সরব হবে।" দলীয় সূত্রের খবর, তিনি একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন আগামী নির্বাচনে তাঁর দল নীতীশকে সমর্থন করবে না।
নীতীশের বিরুদ্ধে বিজেপির অন্দরেও বিক্ষোভের সুর
পাশাপাশি ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবি নিয়েও সরব হতে দেখা গেছে চিরাগ পাসওয়ানকে। আসন্ন নির্বাচনী লড়াইয়ে তিনিও মুখ্যমন্ত্রীত্বের মুখ হতে চান বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি এও ঘোষণা করেছেন যে বিজেপি তাকে আশ্বাস দিয়েছে যে এলজেপি ৪২ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এদিকে ইতিমধ্যেই বিজেপি-এলজেপি বৈঠকের কথা স্বাকীর করেছেন জনতা দলের নেতা কে সি ত্যাগী। পাশাপাশি শুধু এলজেপি নয়, নীতীশের বিরুদ্ধে বিজেপির অন্দরেও বিক্ষোভের সুর শোনা যাচ্ছে। দলের অনেক নেতাই পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যে আচরণ করেছেন, তা মানতে পারছেন না। বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও রয়েছে চিন্তা।
ভোট বৈতরণী পার করতে মাঠে নামছেন ফড়নবিস
এদিকে ভোটের আগে প্রস্তুতিতে কোনোরকম খামতি না রাখতে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র্রের প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ইন-চার্জ হিসাবে নিয়োগ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে তাঁর হাত আরও শক্ত করছেন বিজেপির সর্বাভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবও। এদিকে ভোটের ময়দানে শক্ত হাত দড়কষাকষির ক্ষেত্রে বরাবরই ‘সুনাম' রয়েছে দেবেন্দ্র ফড়নবিসের। এমতাবস্থায় চিরাগ কাঁটায় বিদ্ধ নীতিশ কিভাবে ভোট বৈতরণী পার করেন এখন সেটাই দেখার।
রাজস্থানের মরুঝড় ছিল আগাম ইঙ্গিত, কংগ্রেস হাইকমান্ডের উপর আছড়ে পড়তে চলেছে বিশাল সুনামি